চেনা কথা, চেনা সুর। নিত্যদিন একই ভাবে নরেন্দ্র মোদীর নিন্দা। মাস পাঁচেক ধরে এ সব শুনে শুনে কংগ্রেস কর্মীরা যে আর সে ভাবে সাড়া দিচ্ছেন না সদ্য গত কালই দিল্লিতে রামলীলা ময়দানের কৃষকসভায় তা টের পেয়েছেন তিনি। ভিড় আছে। উচ্ছ্বাস নেই। তাই বুঝি চেনা বুলিতে বদল আনতে চেয়ে রাহুল গাঁধী এ বার জোবস-শরণে!
ডুবতে বসা ‘অ্যাপল’ যাঁর জাদু-ছোঁয়ায় ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, সেই স্টিভ জোবসের সাফল্যের মন্ত্র এ বার উত্তরপ্রদেশে প্রয়োগ করতে চান কংগ্রেস সহসভাপতি। যে রাজ্যে গত পঁচিশ বছরে কুর্সির ধারে-কাছে পৌঁছতে পারেনি কংগ্রেস। আর এখন তো রাজ্যে চার নম্বর রাজনৈতিক দল। এই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলতে ব্লক, জেলা ও রাজ্য স্তরের নেতাদের নিয়ে মথুরায় আজ চিন্তন বৈঠক করেন রাহুল। তুলে আনেন জোবস প্রসঙ্গ। বলেন, ‘‘ঠিক মানুষকে ঠিক দায়িত্ব দিয়েছিলেন জোবস। কর্মীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি করে প্রত্যেককে তাঁদের কাজের উদ্দেশ্য বোঝাতে পেরেছিলেন। প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঐক্যের পরিবেশ কায়েম করতে পেরেছিলেন। সমষ্টিগত সেই প্রয়াসই ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে!’’
উত্তরপ্রদেশে ঝিমিয়ে পড়া দলকে জোবস-জাদুর মন্ত্রে জাগাতে প্রয়াত অ্যাপল-কর্তার ব্যক্তিগত জীবনের গল্পও শোনান রাহুল! দলে ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করতে বলেন, ‘‘কংগ্রেস কর্মীদের আগে দলের সেনানী ভাবা হতো। এখন প্রত্যেককে পরিবারের এক জন হিসেবে দেখি। কারও ভিন্ন মত থাকলে, তাঁর কথাও শোনা হবে।’’ দলের বেহাল দশার কথা কবুল করেও রাহুলের দাবি, মতাদর্শের দিক দিয়ে কংগ্রেস পয়লা নম্বরে। দলের প্রত্যেক কর্মীর মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস-ডিএনএ। তাঁরা দলের মতাদর্শ মানুষের সামনে তুলে ধরলেই সাফল্য আসবে।