তাঁর পরিবার মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর আদর্শে বিশ্বাসী। তাই বাবার হত্যাকারী প্রভাকরনের দেহ দেখেও কষ্ট পেয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। সোমবার গাঁধীর গুজরাতে একটি প্রশ্নোত্তর সভায় তিনি বলেন, ‘‘এ কথা প্রিয়াঙ্কাকেও জানিয়েছিলাম। বোন বলল, তারও খারাপ লাগছিল।’’
গুজরাত আমার নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহেরও। বিজেপি সভাপতি অমিত যখন অমেঠীতে পৌঁছে রাহুল গাঁধীকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছেন, ঠিক তখনই গুজরাতে পৌঁছে উন্নয়ন নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাহুল গাঁধী। বললেন, উন্নয়ন নিয়ে এতটাই অসত্য বলা হয়েছে, যে বিকাশ পাগল হয়ে গিয়েছে। সোমবার অমদাবাদের পাশে খেদার জনসভায় রাহুল নিশানা করেন মোদী-শাহকে। বলেন, জিএসটি হোক কিংবা নোট বাতিল— মানুষের কথা শুনে আজ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেননি মোদী। রাহুল জানান, গত ২২ বছর ধরে এ রাজ্যে বিজেপি মানুষের কথা শোনেনি। তবে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কৃষক-শ্রমিক-ছোট ব্যবসায়ীদের কথা শুনেই এগোবে। কর্মসংস্থান নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন রাহুল। বলেন, ২৪ ঘণ্টায় যদি ৩০ হাজার কর্মসংস্থানের প্রয়োজন হয়, সরকার ব্যবস্থা করে ৪৫০ জনের। নরেন্দ্র মোদী প্রচার শেষ করে দিল্লি ফিরতেই গুজরাতে পৌঁছে তোপ দাগেন রাহুল।
কংগ্রেস সহ-সভাপতিকে পাল্টা চাপে রাখতে কালই অমেঠীতে যাচ্ছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেখানে অমিত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রাহুলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আক্রমণে যাওয়ায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার আগে আজ গৌরীগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অমেঠী-রায়বরেলীর ১০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে গত বিধানসভায় ৬টিতেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তার ভিত্তিতেই আরও চাপ বাড়াতে চাইছেন অমিতরা।