প্রতীকী ছবি।
মেঘালয়ে নিজেরই বাহিনীর এক কনস্টেবলের গুলিতে আরপিএফ বা রেল সুরক্ষা বাহিনীর এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্টের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় জওয়ানদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বলে আরপিএফ সূত্রের খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে জওয়ানদের সঙ্গে অফিসারদের সমন্বয় বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই জন্য প্রতিটি রেল জোনে ওই বাহিনীর সব ইউনিটে ‘সুরক্ষা সম্মেলন’ করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি (আরপিএফ) ধর্মেন্দ্র কুমার।
রেল সূত্রের খবর, মেঘালয়ে ভোটের কাজ চলাকালীন ২৫ ফেব্রুয়ারি আরপিএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্ট এমসি ত্যাগীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অভিযোগ উঠেছে অর্জুন দেশওয়াল নামে এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই হত্যাকাণ্ডের খবর এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় আরপিএফে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এক রেলকর্তা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠানো ছবি দেখে এবং কিছু মন্তব্য শুনে জওয়ানদের ধারণা হয়েছে, ত্যাগী ওই কনস্টেবলকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন। গত দেড় বছরে অর্জুনকে ছুটি দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে ওই কনস্টেবল এটা করে থাকতে পারেন বলে জওয়ানদের একাংশের ধারণা।
রেলের সব জোনে আরপিএফ অফিসারদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে ডিজি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখানো হয়েছে, তা অসত্য। গত দেড় বছরে অর্জুন কত বার ছুটি নিয়েছেন, তার তালিকাও দিয়েছেন ডিজি।
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্জুন মুজফ্ফরনগরে কর্মরত ছিলেন। দিল্লি থেকে ১৪২ কিলোমিটার দূরে তাঁর কর্মস্থল। পরিবারকে দেখতে যাওয়ার সুযোগ কম পেতেন। সুরক্ষা সম্মেলনে আসল ঘটনা তুলে ধরে জওয়ানদের বোঝানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্মেলনের রিপোর্ট আজ, বুধবারের মধ্যে রেল বোর্ডে ডিজি-র অফিসে পাঠাতে হবে। এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক ভিডিও পোস্ট করা যে আইনবিরুদ্ধ কাজ, ডিজি তাঁর বার্তায় সেটাও জানান। তিনি জানাচ্ছেন, এটা আরপিএফের আইনের ১৮ নম্বর ধারায় অপরাধ। সব অফিসার এবং জওয়ানদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy