Advertisement
১৯ মে ২০২৪

রেলে শুরু হল খাবার-সংস্কার

আইআরসিটিসি-র খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। যাত্রীরা তো বটেই, সম্প্রতি রেলের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। তাদের বক্তব্য, রেলে যে খাবার পরিবেশন করা হয় তা নিম্ন মানের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৮ ০৩:০৪
Share: Save:

রেলে খাবারের মান উন্নয়নে হাওড়া-সহ দেশের মোট ৩৫টি স্টেশনে এ বছরেই ‘বেস কিচেন’ বানানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল। এগুলিতে আমিষ ও নিরামিষ রান্নার জন্য থাকছে আলাদা ব্যবস্থা। বদলে ফেলা হচ্ছে ‘প্যান্ট্রি’ কামরার ডিজাইন। বদলাচ্ছে খাবারের মেনুও।

আইআরসিটিসি-র খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। যাত্রীরা তো বটেই, সম্প্রতি রেলের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। তাদের বক্তব্য, রেলে যে খাবার পরিবেশন করা হয় তা নিম্ন মানের। অথচ দাম বেশি। ট্রেন বা স্টেশনের জলও পানের অযোগ্য। রান্নার জল নিয়েও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। এই ছবি পাল্টাতেই এ বার সার্বিক ভাবে পদক্ষেপ করছে রেল।

রেল বোর্ড সূত্রে আজ জানানো হয়েছে, প্রথমেই বদলানো হচ্ছে খাবারের তালিকা। আগামী দিনে ভাত বা রুটির সঙ্গে একাধিক পদের বদলে একটি আমিষ বা নিরামিষ পদই দেওয়া হবে পরিমাণে বেশি করে। রুটি/পুরির সঙ্গে সব্জি, ভাতের সঙ্গে মাছ বা ডিমের ঝোল কিংবা রাজমা। সেই খাবার টাটকা ও গরম অবস্থায় পরিবেশন করতেই হাওড়া, রায়পুর, বিলাসপুর, কানপুরের মতো ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে গড়া হবে রান্নাঘর। ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কেন্দ্রীয় ভাবে সিসিটিভিতে নজরদারি চালাবেন রান্নাঘরের উপরে।

সিএজি-র রিপোর্ট জানিয়েছে, অধিকাংশ ট্রেনে রান্না ও বাসন মাজার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শৌচাগারের জল। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে বদলাচ্ছে ট্রেনের প্যান্ট্রি কামরার মডেলও। বাসন ধোয়ার জন্য আলাদা জায়গা রাখা হচ্ছে প্রতিটি ‘প্যান্ট্রি’ কামরায়। বাসন ধোয়া ও পরিশুদ্ধ জল সংগ্রহ করে রাখার জন্যও কামরার মডেলে বদল আনতে আইসিএফ এবং রায়বরেলীর কোচ কারখানাকে নির্দেশ দিয়েছে রেল বোর্ড ।

বর্তমানে খাবার মজুত করা হয় কামরার শেষে থাকা শৌচাগারের সামনে। সেখান থেকে যাত্রীদের তা পরিবেশন করা হয়। শৌচাগারের সামনে এ ভাবে খাবার রাখা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে রেলের কাছে অসন্তোষ জানিয়েছেন যাত্রীরা। সমস্যা মেটাতে প্রতিটি ট্রেনে একটি ‘সেমি-প্যান্ট্রি’ কামরা চালু করা হচ্ছে। সেখানে রান্না না হলেও গোটা ট্রেনের খাবার এসে জমা হবে। সেখান থেকে প্রয়োজন মতো খাবার বা প্লেট সংগ্রহ করে তা প্রতিটি কামরায় যাত্রীদের দিয়ে যাবেন প্যান্ট্রি-কর্মীরা। খাবারের মান সংক্রান্ত বিষয় দেখার জন্য ম্যানেজার থাকেন শুধু রাজধানী ও শতাব্দী এক্সপ্রেসে। রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আরও ৩০০টি এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য ফুড-ম্যানেজার নিয়োগ করা হবে এ বার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Train IRCTC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE