অনলাইন গেমিংয়ের নেশায় ডুবে থাকতেন স্বামী-স্ত্রী দু’ জনেই। খেলতে খেলতে কখন যে ঋণের বোঝা চার-পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারেননি। যখন বুঝতে পারেন, তখন ঋণ মেটানোর টাকা নেই তাঁদের কাছে। শলাপরামর্শ করে স্বামী-স্ত্রী মিলে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ!
রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা দীপক রাঠৌড়। বছর ছয় আগে রাজেশ নামে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের পাঁচ বছরের কন্যাও রয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, অনলাইন গেমের নেশা ছিল দীপকের। পরে তাঁর স্ত্রীও অনলাইন গেমে বুঁদ হয়ে যান। গেমের জন্য ধার নিতেও কুণ্ঠাবোধ করতেন না। কখনও পাঁচ-সাত হাজার, আবার কখনও ১০-২০ হাজারও ধার করতেন। মাঝেমধ্যে শোধ করতেন, তবে তা খুবই সামান্য। ধীরে ধীরে দেনার পরিমাণ বাড়তে থাকে। দীপকের দিদি জানান, আত্মহত্যার এক দিন আগেই ভাইয়ের থেকে ফোন পান। ফোনে চার-পাঁচ লাখ টাকা ধারও চান। সেই সঙ্গে দীপক বলেছিলেন, ‘‘মৃত্যু ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই।’’ তা শুনে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে নিষেধও করেন। কিন্তু দিদির কথা শোনেননি দীপকেরা!
সোমবার সকালে দীপকের বাবা সত্যনারায়ণ রাঠৌড় পুত্রের বাড়ি যান। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বার বার ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। অনেক ক্ষণ পর বাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে আসে দীপকের পাঁচ বছরের কন্যা। ভেতরে ঢুকে সত্যনারায়ণ দেখেন, তাঁর পুত্র এবং পুত্রবধূর দেহ সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে।
আরও পড়ুন:
কোটার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সুজিত শঙ্কর জানান, অনলাইন গেমিংয়ে ঋণের বোঝার কারণে ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।