Advertisement
E-Paper

‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণ বরদাস্ত করব না’! চিনে দাঁড়িয়ে নাম না-করে পাকিস্তানকে বার্তা রাজনাথের

সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে ফের নাম না-করে পাকিস্তানকে বিঁধলেন রাজনাথ সিংহ। কিছু দেশ অন্য দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোকে একটি ‘নীতিগত অস্ত্র’ হিসাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তোলেন রাজনাথ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ১১:৪৫
নাম না-করে পাকিস্তানকে নিশানা রাজনাথ সিংহের।

নাম না-করে পাকিস্তানকে নিশানা রাজনাথ সিংহের। —ফাইল চিত্র।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণের কোনও জায়গা নেই! চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম না-করে এই ভাষাতেই পাকিস্তানকে বিঁধলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন-এর (এসসিও) সদস্যরাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন চলছে চিনে। ওই সম্মেলনে বক্তৃতার সময়েই এই মন্তব্য করেন রাজনাথ। বস্তুত, এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে।

এসসিও সম্মেলনে বক্তৃতায় রাজনাথ বলেন, “সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক, আর্থিক মদতদাতা এবং হামলাকারীদের জবাবদিহি করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দু’মুখো আচরণ বরদাস্ত করা যায় না। কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয়। তারা অন্য দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোকে একটি ‘নীতিগত অস্ত্র’ হিসাবে ব্যবহার করছে।” ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে শান্তি এবং নিরাপত্তার অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এই সমস্যার মূলে রয়েছে মৌলবাদ, চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত। যারা সন্ত্রাসবাদকে নিজেদের সঙ্কীর্ণ স্বার্থপূরণের উদ্দেশ্যে প্রশ্রয় দেয় এবং ব্যবহার করে, তাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও এসসিও সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দেন রাজনাথ।

চিনে ওই সম্মেলন থেকে রাজনাথ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং সন্ত্রাসবাদ ও বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার কখনও একসঙ্গে চলতে পারে না। এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করার জন্য এসসিও-র দৃঢ় পদক্ষেপ করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি। রাজনাথ বলেন, “এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণ করে, সেই দেশগুলির সমালোচনা করতে এসসিও-র কোনও দ্বিধা থাকা কাম্য নয়।”

রাজনাথের মতে, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে যে ধরনের জঙ্গিহানা দেখা গিয়েছে, তার সঙ্গে ভারতে অতীতে লশকর-এ-ত্যায়বার জঙ্গিহানার ধাঁচ মিলে গিয়েছে। বস্তুত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়, যাঁদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন পর্যটক। পহেলগাঁওয়ের হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ তুলে আসছে ভারত।

এসসিও-তে বর্তমানে ১০টি সদস্যরাষ্ট্র রয়েছে। দেশগুলি হল ভারত, চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, কাজ়াখস্তান, কিরগিজ়স্তান, তাজিকিস্তান, উজ়বেকিস্তান, ইরান এবং বেলারুস।

Rajnath Singh Pakistan India SCO
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy