প্রতীকী ছবি।
এক নয়, দুই নয়, তিন নয়…. সওয়া তিন ঘণ্টায় দশ বার মুলতুবি হল রাজ্যসভা। তাতেও এককাট্টা বিরোধীদের দাপটে গায়ের জোর চলল না বিজেপির। বিল পাশ করতে না পারার অস্বস্তি লুকোতে কংগ্রেসকেই পাল্টা চাপ দিতে চেয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিজেপির দাবি, কংগ্রেস সংসদ বন্ধ রেখে বিল পাশ করাতে দিচ্ছে না। তাই যে ২৩ দিন সংসদ চলেনি সেই সময়ের জন্য প্রাপ্য বেতন ও ভাতা নেবেন না এনডিএ সাংসদেরা।
তেলুগু দেশম আর এডিএমকে-র হট্টগোলের জেরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যসভা রোজ সকালে দিনভরের জন্য মুলতুবি হচ্ছিল। আজই হঠাৎ রহস্যজনক ভাবে চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু বেলা দুটো পর্যন্ত মুলতুবি করেন। পরে বিরোধীরা জানতে পারেন, সরকার হট্টগোলের মধ্যেই গায়ের জোরে বিল পাশ করাতে চায়। সেটি ভেস্তে দিতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল-সহ ১৩ বিরোধী দল। সঙ্গে নেয় তেলুগু দেশম, এডিএমকে-কেও। বেলা দু’টোয় দুর্নীতি-বিরোধী সংশোধনী বিল আনতে গেলেই আপত্তি জানান বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ জানান, বিরোধীরা সংসদ চলতে দিচ্ছে না বলে রটাচ্ছে সরকার। অথচ বাকি দু’দিনে সব বিল পাশ করাতে চায় বিরোধীরা। কিন্তু নীরব মোদী থেকে দলিত আইন নিয়ে আলোচনা করতে হবে। সরকার লোকসভায় ‘দাদাগিরি’ করছে। রাজ্যসভাতেও বিরোধীদের বলতে দেবে না, তা হয় না। আজাদ তেলুগু দেশম, এডিএমকে-র তোলা বিষয় নিয়েও আলোচনার দাবি তোলেন।
এতেই বিপাকে পড়ে যায় সরকার। হট্টগোলের মধ্যেই বিল পেশের চেষ্টা করে সরকার। কিন্তু তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায় ভোটাভুটির দাবি করে জট পাকান। ততক্ষণে ফের হাঙ্গামা শুরু করেছে তেলুগু দেশম, এডিএমকে। হট্টগোলের সময়ে ভোটাভুটি হয় না। সরকার পক্ষ নিজেদের মন্ত্রী, সাংসদদের ফোন করে রাজ্যসভায় আনে। তাতেও জট কাটেনি। সরকার বিল পাশ করাতে পারেনি।
এর পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কংগ্রেসকে পাল্টা চাপ দেওয়ার নির্দেশ দেন মোদী। সংসদীয় মন্ত্রী অনন্তকুমার জানিয়ে দেন, কংগ্রেস সংসদ চলতে দিচ্ছে না। ২৩ দিন তাদের বাধায় সংসদ চলেনি। ওই ২৩ দিনের বেতন ও ভাতা নেবেন না এনডিএ সাংসদেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy