নতুন প্রজাতির বাঁদরের খোঁজ মিলল ভারতে।
অরুণাচলপ্রদেশের আনজাও জেলায় প্রাণী বিশেষজ্ঞ উদয়ন বরঠাকুর, আরণ্যকের প্রাইমেট গবেষণা ও সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান দিলীপ ছেত্রী ও তিনসুকিয়া কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক রঞ্জনকুমার দাস ওই নতুন প্রজাতির বাঁদরটির সন্ধান পান। উদয়ন, দিলীপ ও রঞ্জনবাবু গত বছর মার্চে পাখির ছবি তুলতে অরুণাচলের পূর্ব সীমানায় জঙ্গলে ঘুরছিলেন। তখন তাঁরা ওই বাঁদরটি দেখতে পান। সব রকম পরীক্ষার পরে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে— আনজাওয়ে মেলা বাঁদরটি রেস্যাস ম্যাকাক, অরুণাচল ম্যাকাক, অসম ম্যাকাক ও তিব্বতি ম্যাকাকের চেয়ে ভিন্ন প্রজাতির। তার মুখ ঘিরে বড় লোমের বিন্যাস, গলা থেকে পেটের লোমশ অংশ, কেশহীন ছোট লেজ, কালচে লাল মুখ, ঘাড়ে লম্বা ও ঘন চুল, থুতনির চারপাশে সাদাটে ধূসর রঙই তাদের অন্য ম্যাকাক প্রজাতি থেকে স্বতন্ত্র করেছে।
প্রাণী বিশেষজ্ঞ উদয়ন বরঠাকুর জানান, ২০১৩-১৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব তিব্বতের মোদগ এলাকায় ৬ মাসের অভিযান চালানোর পরে চিনা জীববিজ্ঞানীদের একটি দল একই প্রজাতির বাঁদরের সন্ধান পেয়েছিলেন। ওই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন দালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী পেং ফেই ফ্যান, চেং লি ও চাও ঝাও। ২০১৫ সালে নতুন প্রজাতির অস্তিত্ব নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁরা বাঁদরটির নাম দিয়েছিলেন ‘হোয়াইট চিকড ম্যাকাক’। এত দিন ভাবা হতো শুধু মোদগ এলাকাতেই তাদের দেখা মেলে। কিন্তু অরুণাচলপ্রদেশের আনজাও জেলার জঙ্গলে উদয়নবাবু, রঞ্জনবাবু ও দিলীপবাবুর তোলা ছবি থেকে এ বার প্রমাণিত হল, তিব্বতের মোদগ এলাকার পাশাপাশি ভারতেও রয়েছে সাদা গালওয়ালা ম্যাকাকের দল।