E-Paper

ক্যানসারকে আহ্বান কেন, আক্ষেপ রবির

দারিদ্রের জন্য কোনও ক্যানসার রোগী যাতে চিকিৎসাবঞ্চিত না হন, এই লক্ষ্য নিয়ে অনেকটা পথ এগিয়ে চলার দরুন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ রবিকে শনিবার ম্যানিলায় রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার দেওয়া হল।

উত্তম সাহা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৬
রবি কন্নন।

রবি কন্নন। —নিজস্ব চিত্র।

মানুষ আজকাল আগের চেয়ে অনেক বেশি ক্যানসার সচেতন৷ তবু তামাক, জর্দা, গুটখা খাওয়ার দরুন ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে বলে আক্ষেপ কাছাড় ক্যানসার হাসপাতালের ডিরেক্টর রবি কন্ননের।

ম্যাগসাইসাই পুরস্কার নিতে ম্যানিলায় রওনা হওয়ার আগে রবি বলেন, “তামাক-জর্দা-গুটখা খেয়ে ইচ্ছে করে দ্রুত কষ্টকর মৃত্যুর দিকে ছোটার এই যে এক প্রবণতা, একে এক কথায় কী বলা যায়, তা আমার জানা নেই৷ এঁরা ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে অনুতপ্ত হন বটে, কিন্তু তখন আর কিছু করার থাকে না৷ তা দেখেও অন্যরা শিক্ষা নেন না৷”

দারিদ্রের জন্য কোনও ক্যানসার রোগী যাতে চিকিৎসাবঞ্চিত না হন, এই লক্ষ্য নিয়ে অনেকটা পথ এগিয়ে চলার দরুন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ রবিকে শনিবার ম্যানিলায় রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার দেওয়া হল। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রশস্তিপত্রে বলা হয়, ‘৩০ বছর আগে স্থানীয় মানুষেরা তৈরি করেছিলেন কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল৷ ২০০৭ সালে চেন্নাই থেকে চাকরি ছেড়ে কন্নন ওই হাসপাতালে যোগ দিয়েছিলেন ডিরেক্টর পদে৷ কিছু দিন পরই তিনি দেখেন, রোগীদের অধিকাংশ নিয়মিত আসেন না৷ কন্নন খোঁজ করে দেখেন, দারিদ্রের দরুন তাঁদের পক্ষে ক্যানসারের চিকিৎসা সম্ভব হয় না৷ তিনি একে একে দরিদ্র রোগীর বিনা খরচে সম্পূর্ণ চিকিৎসা, ভর্তি থাকার সময়ে অ্যাটেন্ড্যান্ট-সহ খাওয়ার ব্যবস্থা করলেন৷ পরে রোগীদের একাংশের বাড়িতে চিকিৎসক পাঠালেন৷ ৫৯ বছর বয়সী কান্নানের একটাই লক্ষ্য, দারিদ্রের জন্য কোনও ক্যানসার রোগী যাতে চিকিৎসাবঞ্চিত না হন৷’

কী ভাবে এই লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে চলেছেন? পুরস্কার নিয়ে রবি বলেন, "আমার সহকর্মীরা শুধু রোগীকে সুস্থ করার কাজটুকুই করেন না, বরং বাস্তব পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে, ধৈর্যের সঙ্গে হতাশ মানুষের মনে আশার আলো জ্বালিয়ে দেন। এটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে ব্যতিক্রমী কিছু করা যায়ই।"

ভারতবাসীর পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দর্শক-শ্রোতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রবি কখনও গেয়ে ওঠেন ভূপেন হাজরিকার কালজয়ী সঙ্গীত, ‘উই আর ইন দ্য সেম বোট ব্রাদার’, কখনও সংস্কৃতে শুনিয়েছেন বসুধৈব কুটুম্বকমের তত্ত্ব৷

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Health

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy