রাজ্যে শিল্প গড়ার জন্য এক লপ্তে বড় জমির অভাব। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে তাই সমবায়ের ধাঁচে সংস্থা গড়ে ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পসংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন বলে আজ খাদ্য উৎসবে দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক। দিল্লির ওই মঞ্চ থেকে পূর্ব, উত্তর-পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মতো দেশগুলিতে নিজেদের ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গড়ার জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পপতিদের আহ্বান জানান তিনি।
দিল্লিতে তিন দিনের খাদ্য উৎসবে অন্যতম ‘ফোকাস স্টেট’ হল পশ্চিমবঙ্গ। এ দিনের আলোচনাসভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের ব্যবসায়ীদের কাছে রাজ্যে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরেন রেজ্জাক ও তাঁর দফতরের আমলারা। এক সময়ে বামফ্রন্টের শিল্পনীতির অন্যতম সমালোচক ছিলেন এই রেজ্জাক। শিল্পমহলের আস্থা অর্জনে আজ তিনি তুলে ধরেন রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পসংস্থার সাফল্যের কাহিনি। আশ্বাস দেন শিল্পমহলের চাহিদা যথাসম্ভব মেটানোর। তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা পশ্চিমবঙ্গে এসে দেখুন। এই ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বাজার যাচাই করে লাভের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলে, তবেই লগ্নি করুন।’’
এই সূত্রে রাজ্যে শিল্পের জন্য বড় জমি পাওয়ার সমস্যা কবুল করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘‘রাজ্যের অধিকাংশ কৃষক ছোট জমির মালিক। তাই বড় জমি পাওয়াটা সমস্যার।’’ এরই সঙ্গে জানান, বিকল্প পথে সাফল্য পাওয়ার কথা। তাঁর বক্তব্য, চাষিরা এক জোট হয়ে সমবায়ের ধাঁচে সংস্থা গড়ে ফসল ফলাচ্ছেন। সেই ফসল যাচ্ছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে। লাভের একটি অংশ পাচ্ছেন কৃষকেরাও।’’ তবে রেজ্জাক বলেন, ‘‘এটি কিন্তু চুক্তি চাষ নয়। কৃষকেরা নিজেদের পছন্দমতো ফসল ফলাচ্ছেন।’’
রাজ্যে সমবায় পদ্ধতিতে চাষের ইতিহাস বেশ পুরনো হলেও, বাম আমলে সরকারি উদাসীনতা, শরিক দলের মন্ত্রীর হাতে দফতরের ভার দিয়ে গুরুত্বহীন করে দেওয়া, এ রকম নানা কারণে ভেঙে পড়ে ওই ব্যবস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy