লাল কেল্লা সংলগ্ন এলাকায় পর পর বিস্ফোরণের পরে যখন চারিদিক ঢেকে গিয়েছিল ধোঁয়ায় আর আতঙ্কে, তখন উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে ছুটে আসেন অশোক রনধাওয়া। ২০০৫ সালে সরোজিনী নগরের বিস্ফোরণের ঘটনায় সহকর্মীকে হারানোর পর থেকেই যে আতঙ্ক কাজ করছিল তাঁর মনে, সেই স্মৃতি যেন ফের উস্কে দিল গতকালের ঘটনার ভয়াবহতা।
কুড়ি বছর আগে যখন বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল সরোজিনী নগর, তখন মৃত্যু হয়েছিল পঞ্চাশেরও বেশি মানুষের। জখম হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। সরোজিনী নগর মিনি মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট অশোক জানাচ্ছেন, সে দিন ধনতেরস হওয়ায় বাজারে স্বাভাবিকের থেকে বেশিই ভিড় ছিল। মিনি মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সচিব তথা অশোকের সহকর্মী, লালচাঁদ সালুজা লক্ষাধিক লোকের ভিড় সামাল দিতে ডেকেছিলেন অশোককে। পুলিশের সাহায্যে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে ভেবে বাজার থেকে কিছুটা দূরে একটি টেলিফোন বুথে গিয়েছিলেন অশোকও। আর ঠিক সময়ই ঘটে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় সালুজা-সহ বহু মানুষের দেহ। দ্রুত ঘটনাস্থলে ফিরে এসে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন তিনি। তবুও ঘটনার ভয়াবহতা যেন আজও তাড়া করে বেড়ায় তাঁকে।
সে দিনের ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের এখনও নানা ভাবে সাহায্য করে যান অশোক ও তাঁর সহকর্মীরা। সোমবার বিস্ফোরণের খবর পৌঁছোতেই ঘটনাস্থলে চলে যান তিনি। হতাহতদের উদ্ধার করতে উদ্ধারকর্মীদের হাতে হাতে কাজ করতে থাকেন।
গত কাল সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন সুরেন্দ্র কুমারও। ২০০৫-এর ঘটনায় নিজের দাদাকে হারিয়েছিলেন তিনি। যদি আর কোনও ভাবে হতাহতদের সাহায্য করা যায়, তা-ও করতে রাজি তাঁরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)