Advertisement
E-Paper

সিবিআই কাণ্ডে দুই কর্তাকে সরানোয় ৫৬ ইঞ্চির ছাতির জোর দেখছে বিজেপি

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘নির্বাসিত’ সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মা। হলফনামা জমা দিয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:৪৬
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।—ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।—ফাইল চিত্র।

সিবিআইয়ের অন্তর্দ্বন্দ্বে মুখ পুড়েছে মোদী সরকারের। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে কোনও চেষ্টাই বাকি রাখেনি তারা। সংস্থার দুই শীর্ষকর্তাকে কার্যত ‘নির্বাসন’-এ যেতে হয়েছে।তবুও বিতর্ক থামেনি। বরং যত দিন গিয়েছে ততই জল ঘোলা হয়েছে। মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তবে এতে নাকি বিলকুল চিন্তিত নয় কেন্দ্র। বরং সিবিআই কর্তাদের রাতারাতি সরিয়ে নিজেদের ক্ষমতার জাহির করেছে। চওড়া হয়েছে তাদের ৫৬ ইঞ্চির ছাতি। দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরের।

আসন্ন রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে হাজির ছিলেন প্রকাশ জাভড়েকর। আলোচনা চলাকালীন সিবিআইয়ের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গ উঠে আসে সেখানে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, গোটা ঘটনায় কি একটুও অস্বস্তি হয়নি সরকারের? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের দুই শীর্ষকর্তা প্রকাশ্যে লড়ছেন, ব্যাপারটা মোটেই শোভনীয় নয়। কিন্তু তাঁরা নিজেরাই যখন একে অপরের বিরুদ্ধে তোলাবাজি চক্র চালানোর অভিযোগ তুলছেন, তখন বাইরের লোক আর কী করবে! তাই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হই আমরা। দেখিয়ে দিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির ক্ষমতা। মাঝরাতেই সরিয়ে দিই দু’জনকে।’’

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘নির্বাসিত’ সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মা। হলফনামা জমা দিয়েছেন। গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাতে নাকি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছেন।বলেছেন, সিবিআইয়ের কাজকর্মে অযথা নাক গলাচ্ছিল কেন্দ্র সরকার। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন জাভড়েকর। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বন্ধ খামে হলফনামা জমা দিয়েছেন অলোক বর্মা। তাতে কী লেখা আছে তা কারও জানার কথা নয়। সত্যি সত্যি উনি তেমন কিছু বলেছেন কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি।’’

আরও পড়ুন: দাউদ, হাফিজদের দায় নিতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী ইমরান​

আরও পড়ুন: ভিডিয়োর নগ্ন মহিলা তিনি নন, আড়াই বছর লড়ে প্রমাণ দিলেন সন্তানদের​

তবে জাভড়েকর অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও, এম নাগেশ্বর রাওকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অন্তর্বর্তিকালীন ডিরেক্টর নিয়োগ করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত অনেক রদবদল ঘটে গিয়েছে সংস্থার অন্দরে। বদলি করা হয়েছে অনেক আধিকারিককে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দিয়েছেন। তাঁরাও সরকারের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাদের কাজে নাক গলানোর অভিযোগ তুলেছেন। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে সেগুলির শুনানি চলছে।

CBI Controversy Modi Government
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy