প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগান সফল করতে গিয়ে গত কয়েক বছরে দফায় দফায় অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম আমদানিতে কাটছাঁট করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কিন্তু আন্তর্জাতিক রিপোর্ট বলছে, গত চার বছরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ ইউক্রেন যে অঙ্কের অস্ত্র আমদানি করেছে, শান্তির পরিস্থিতিতে ভারতের আমদানি তার কাছাকাছি!
সুইডেনের প্রতিরক্ষা সমীক্ষা সংস্থা ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ (সিপ্রি)-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানাচ্ছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বে মোট অস্ত্র কেনার ৮.৩ শতাংশই করেছে ভারত। তবে শতাংশের অনুপাতে এই হার তার আগের চার বছরের তুলনায় কিছুটা কম। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বিশ্ব জুড়ে অস্ত্র আমদানির বাজারে ভারতের ‘অবদান’ ছিল ৯.৩ শতাংশ। অন্য দিকে, ২০২০-২৪-এ ভলোদিমির জ়েলেনস্কির দেশ ৮.৯ শতাংশ সমরাস্ত্র আমদানি করে এক নম্বর স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন:
সিপ্রির রিপোর্টে বিশ্বের ১৬২টি দেশের তালিকায় তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে, কাতার, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান। আর্থিক মন্দা পরিস্থিতিতেও পাকিস্তানের অস্ত্র আমদানি কমেনি। গত চার বছরে বিশ্বে মোট অস্ত্র আমদানির ৫.৩ শতাংশ করেছে তারা। অন্য দিকে, নব্বইয়ের দশকের পর এই প্রথম বার বিশ্বের প্রথম ১০টি অস্ত্র আমদানিকারক দেশের মধ্যে ঠাঁই পায়নি চিন। যদিও ধারাবাহিক ভাবে শি জ়িনপিংয়ের দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট বেড়ে চলেছে। এর অর্থ, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে প্রকৃত অর্থেই ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে চিন।
আরও পড়ুন:
ভারতকে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। ২০২০-২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার যত অস্ত্র কিনেছে, তার ৩৮ শতাংশই ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে। তবে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে ক্রমশ মস্কো-নির্ভরতা কমছে নয়াদিল্লির। ২০১৫-১৯ ভারতের কেনা মোট সমরাস্ত্রের ৫৫ শতাংশ এসেছিল রাশিয়া থেকে। গত চার বছরে ভারতে অস্ত্র রফতানিতে দ্বিতীয় ইজ়রায়েল (৩৪ শতাংশ) এবং ফ্রান্স (২৮ শতাংশ)। অন্য দিকে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক পাঁচটি দেশ হল, আমেরিকা ফ্রান্স, রাশিয়া, চিন এবং জার্মানি।