ফাইল চিত্র।
ড্রোনের মাধ্যমে পঞ্জাবে অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা পুরোপুরি পাকিস্তানেরই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির পাঠানো রিপোর্টে এই তথ্যই জানানো হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে ড্রোন এলেও সেই তৎপরতা কেন ভারতীয় বায়ুসেনা কিংবা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের নজরে এল না, তা নিয়েও রিপোর্টে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বর মাসেই পঞ্জাব সীমান্তে ভারতের আকাশে ঢুকে অস্ত্র পাঠানোর জন্য অন্তত আটবার ড্রোন পাঠানো হয়েছে। এর বাইরেও ড্রোন ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। ড্রোনগুলিতে প্রতিবার অন্তত ১০ কেজির প্যাকেট পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মোবাইল বা স্যাটেলাইট ফোন পাঠানো হতে পারে। ড্রোনের মাধ্যমে অমৃতসরে একে-৪৭ রাইফেল, গ্রেনেড পাঠানোর খবর অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরে হামলার জন্যই জঙ্গিদের হাতে ওই সব অস্ত্র পৌঁছনোর পরিকল্পনা নিয়েছে পাকিস্তান।
ড্রোন কাণ্ড সামনে আসতেই বিষয়টিতে পাক সরকারের ভূমিকাকে তদন্ত করে দেখার জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের ও-পার থেকে ড্রোনগুলিকে কী ভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে, তা দেখতে বলা হয় ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন(এনটিআরও)কে। ড্রোনগুলি কোথা থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, এগুলির কাজের পদ্ধতি কী, তা খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধ্বংস হওয়া একটি ড্রোন চিনে তৈরি। তবে পাকিস্তানি সেনা এই ধরনের ড্রোন ব্যবহারে অভ্যস্ত বলেই জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার খবর এসেছে, পঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার আরও দু’টি জায়গায় গ্রামবাসীরা ড্রোন দেখতে পেয়েছেন। সন্ধে সাতটা নাগাদ হাজারাসিং ওয়ালা গ্রামে এবং রাত দশটা নাগাদ তেন্ডিওয়ালা গ্রামের বাসিন্দাদের নজরে এসেছে ড্রোন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy