Advertisement
E-Paper

আর মাত্র দেড় ফুট! ১৭৩ ঘণ্টা পর ৭০০ ফুট কুয়োয় আটকে থাকা খুদের কাছাকাছি উদ্ধারকারী দল

গত সোমবার খেলতে খেলতে ৭০০ ফুট গভীর ওই কুয়োয় পড়ে যায় চেতনা। প্রথমে সে কুয়োর ১৫ ফুট গভীরে আটকে ছিল। পরিবারের লোকেরা তাকে টেনে বার করার চেষ্টা করতে গেলে উল্টে আরও ১৫০ ফুট গভীরে পড়ে যায় সে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৮
(বাঁ দিকে) চলছে উদ্ধারের কাজ। কুয়োয় পড়ে যাওয়া সেই শিশু (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) চলছে উদ্ধারের কাজ। কুয়োয় পড়ে যাওয়া সেই শিশু (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

সাত দিন! ১৭৩ ঘণ্টা! এই দীর্ঘ সময় কুয়োর অন্ধকারেই কাটিয়েছে রাজস্থানের চেতনা। দিনকয়েক আগে নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে তার। জীবিত থাকার আশাও ক্ষীণ। তার মাঝেই সোমবার অষ্টম দিনে পা রাখল উদ্ধার অভিযান। উদ্ধারকারী দল জানাল, আর মাত্র দেড় ফুট খুঁড়লেই চেতনার কাছাকাছি পৌঁছনো যাবে!

গত সোমবার দুপুরে রাজস্থানের কোটওয়ালে ৭০০ ফুট গভীর একটি খোলামুখ কুয়োতে পড়ে যায় তিন বছরের চেতনা। সে দিন থেকেই পুরোদমে চলছে উদ্ধারের কাজ, কিন্তু চেতনাকে উদ্ধার করা যায়নি। সাত দিন ধরে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র সদস্যেরা খুদেকে উদ্ধারের সব রকম চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত উদ্ধারের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।

সোমবার সকালে এনডিআরএফ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০ ফুট দূরে কুয়োর সমান্তরালে ১৭০ ফুট গভীর আর একটি সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে। দুই সুড়ঙ্গের সংযোগকারী আরও ১০ ফুটের গর্ত খোঁড়ার কাজ চলছে। তার মধ্যে এ পর্যন্ত আট ফুটেরও বেশি খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র দেড় ফুট খুঁড়লেই চেতনার কাছাকাছি পৌঁছতে পারবেন তাঁরা। ওই একরত্তি ও উদ্ধারকারীদের মাঝে দেড় ফুট প্রশস্ত শক্ত পাথরের দেওয়াল রয়েছে। ড্রিলিং মেশিন দিয়েও ঘণ্টায় মাত্র ২-৩ ইঞ্চি করে খোঁড়া যাচ্ছে। এ কারণেই উদ্ধারকাজে দেরি হচ্ছে। এনডিআরএফ কর্মী মহাবীর সিংহ জানিয়েছেন, মাটির এত গভীরে খননকার্য চলার ফলে সুড়ঙ্গের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ধুলোর কারণে শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। কিন্তু তাতে দমছেন না উদ্ধারকারীরা। তবে সব ঠিক থাকলে রাতের মধ্যেই খুদের কাছে পৌঁছে যাবেন তাঁরা।

গত সোমবার খেলতে খেলতে ৭০০ ফুট গভীর ওই কুয়োয় পড়ে যায় চেতনা। প্রথমে সে কুয়োর ১৫ ফুট গভীরে আটকে ছিল। পরিবারের লোকেরা তাকে টেনে বার করার চেষ্টা করতে গেলে উল্টে আরও ১৫০ ফুট গভীরে পড়ে যায় সে। এর পর শুরু হয় উদ্ধারকাজ। শিশুর যাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের অভাব না হয়, তার জন্য কুয়োর মুখ দিয়ে একটি অক্সিজেন পাইপও প্রবেশ করানো হয়। একটি পাইলিং মেশিনের সাহায্যে শুরু হয় খননের কাজ। সাত দিন ধরে সেই উদ্ধার অভিযান চলছে। জেলা কালেক্টর কল্পনা অগরওয়াল বলছেন, এখনও পর্যন্ত এটিই রাজস্থানের সবচেয়ে কঠিন উদ্ধার অভিযান!

Rajasthan Borewell Rescue Operation Rescue Work well NDRF
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy