দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার উত্তরপত্রে এমনই নম্বর দিয়েছেন শিক্ষকরা যে ফলাফল প্রকাশের পর আত্মহত্যার ঢল নেমেছে তেলঙ্গানায়। রেজাল্ট বেরিয়েছে গত ১৮ এপ্রিল। তার ১০ দিনের মধ্যে আত্মঘাতী হয়েছেন ২১ জন পরীক্ষার্থী। ওই পরীক্ষায় ‘ফেল’ করানো হয়েছে ৩ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। প্রতিবাদে গত সপ্তাহে বিশাল মিছিল করেছেন ছাত্রছাত্রী আর তাঁদের অভিভাবকরা।
তাঁদের অভিযোগ, তেলঙ্গানায় দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা তেলঙ্গানা স্টেট বোর্ড অফ ইন্টারমিডিয়েট এডুকেশন (টিএসবিআইই) এবং একটি বেসরকারি সংস্থা গ্লোবঅ্যারেনা টেকনোলজিস ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দিতে গিয়ে ব্যাপক ভুল করেছে। কারা কারা পরীক্ষায় বসতে পারবেন, কোথায় কোথায় পরীক্ষা নেওয়া হবে আর কেমন প্রশ্ন হবে আর কারা কারা খাতা দেখবেন, সে ব্যাপারে দেখভালের দায়িত্বে ছিল গ্লোবঅ্যারেনা টেকনোলজিস। তাদের ত্রুটি-বিচ্যূতিতেই পরীক্ষায় ফেল করেছেন ৩ লক্ষ ছাত্রছাত্রী।
এক অভিভাবক একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় তাঁর ছেলের মার্কশিট দেখিয়ে বলেছেন, ‘‘এই দেখুন, আগের বছর আমার ছেলে এই সাবজেক্টে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছিল। আর এ বার আমার ছেলে দুই অঙ্কের নম্বরও পায়নি এই সাবজেক্টে।’’
আরও পড়ুন- হাত নেই, পা দিয়েই ভোট দিলেন এই যুবক
আরও পড়ুন- ভোটগ্রহণের পর স্ট্রংরুমে পোজ দিয়ে ছবি! হাজতবাস পোলিং এজেন্টের
বিস্তর অভিযোগের জেরে শেষ পর্যন্ত তেলঙ্গানা সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রাজ্যের শিক্ষা সচিব জনার্দন রেড্ডি স্বীকারও করেছেন, ‘‘কিছু ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকতে পারে। তবে সেটার বেশির ভাগের জন্যই দায়ী প্রযুক্তিগত সমস্যা। পরীক্ষকরাও হয়তো কোনও কোনও ক্ষেত্রে ভুল করেছেন। সব কিছু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’