পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে যে ভাবে তারা সক্রিয় হয়েছে, সেই ভাবেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়েছে সঙ্ঘ পরিবার। ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার বাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে তারা।
ত্রিপুরার ভারপ্রাপ্ত আরএসএস নেতা সুনীল দেওধর আজ দিল্লিতে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মানিক সরকারের নেতৃত্বাধীন বাম শাসনের অবসান ঘটবে।’’ ত্রিপুরার মানুষ কতটা খেপে আছেন, দিল্লির সংবাদমাধ্যম তা জানে না বলে দাবি করেন তিনি।
দিল্লি এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং আরও কয়েক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে ত্রিপুরার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আজই ফিরে গেলেন সুনীল। আপাতত তিনি ঘাঁটি গেড়েছেন আগরতলায়। মে মাসে ওই রাজ্যে যাচ্ছেন অমিত শাহ। ত্রিপুরায় দু’দিন থাকবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি ত্রিপুরায় ভোটের প্রচারে যাবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিজেপি সূত্র বলছে, ত্রিপুরায় ৩৫ শতাংশ ওবিসি নাথ সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। এঁরা উপজাতি নন। এঁদের দেবতা গোরক্ষনাথ এবং এঁদের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় নেতা আদিত্যনাথ।
আরএসএসের এই নেতা মনে করেন, ত্রিপুরায় বিরোধী দল কংগ্রেস কার্যত ভেঙে গিয়েছে। মানিকবাবু তথা সিপিএমের বিরুদ্ধে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল তা কাজে লাগাতে সক্রিয় হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু পারেনি। দেওধরের কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের কাজকর্ম দেখে বীতশ্রদ্ধ হয়ে মানুষ বিজেপির দিকে ঘুরে গিয়েছে। বিজেপিই যে প্রকৃত বিকল্প তা বুঝতে অসুবিধে নেই। বাংলাভাষী ও উপজাতিদের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। অতীতে বিভেদ ঘটানোর চেষ্টা হয়েছিল। বিজেপিই একমাত্র দল যারা দু’পক্ষের মিলন ঘটিয়ে ত্রিপুরার উন্নয়নে বদ্ধপরিকর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy