বিজেপির দলীয় সংবিধানে রয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আজ আরএসএস নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, জরুরি অবস্থার সময়ে আমজনতাকে জেলে পুরে যেমন অত্যাচার করা হয়েছিল তেমনি অত্যাচারের শিকার হয়েছিল সংবিধান। তাই সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি থাকা উচিত কি না তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হওয়া উচিত।
সম্প্রতি জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তিতে একটি আলোচনাসভায় আরএসএসের সহকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে বলেন, জরুরি অবস্থার সময়ে সংবিধান সংশোধন করে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ওই শব্দগুলির থাকা উচিত কি না তা নিয়ে বিতর্কের প্রয়োজন রয়েছে। দেশ জুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের মতো বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা আরএসএসের ওই মন্তব্যের সমর্থনে সরব হন। কংগ্রেস পাল্টা প্রশ্ন তোলে, বিজেপির দলীয় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি তা হলে কেন রয়েছে। কেন তা সরানো হবে না? ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি শাসক দলের সংবিধানে থাকার কোনও অধিকার রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্নতোলেন বিরোধীরা।
আগামিকাল থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে আরএসএসের প্রান্ত প্রচারকদের নিয়ে বৈঠক। মূলত সংগঠনের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান কী ভাবে আয়োজিত হবে, তার রূপরেখা তৈরি করতে ওই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন আরএসএস নেতৃত্ব। আজ সাংবাদিক বৈঠকে দত্তাত্রেয় হোসবলের মন্তব্য এবং বিজেপির সংবিধানে সেটির উপস্থিতির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দলের প্রধান মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর বলেন, ‘‘হোসবলে নিজের বক্তব্যে জরুরি অবস্থার সময়ে একাধিক অত্যাচারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন। তার মধ্যে যেমন রাজনীতিক ও আমজনতার উপরে হওয়া অত্যাচার রয়েছে, তেমনি সংবিধানের উপর অত্যাচারও রয়েছে। জরুরি অবস্থার পাঁচ দশক পূর্তিতে সেই সব অত্যাচার নিয়ে বিতর্কের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টিকে সেই ভাবেই দেখা হোক।’’ হোসবলের মন্তব্যের পরে বিজেপির দলীয় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটির থাকা উচিত কি না, সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য এড়িয়ে যান আরএসএস নেতৃত্ব।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)