একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতাকে বুঝতে না পারলে রাষ্ট্রপুঞ্জের মতো প্রতিষ্ঠান ক্রমশ তার প্রাসঙ্গিকতা এবং মান্যতা হারাবে। আজ এ ভাবেই কড়া স্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ দিল্লিতে ‘ইউএন ট্রুপ কন্ট্রিবিউটিং কান্ট্রিজ় কনক্লেভ’-এ বক্তৃতা দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “রাষ্ট্রপুঞ্জ এখনও ১৯৪৫-এর বাস্তবতায় আটকে রয়েছে। ২০২৫-এ পৌঁছতে পারেনি।” সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গত আশি বছরে ভূকৌশলগত যে বিপুল পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে, সে কথা উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, “আরও বেশি কার্যকরী হতে গেলে রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কার অত্যন্ত প্রয়োজন। আরও বেশি অন্তর্ভূক্তিমূলক, গণতান্ত্রিক এবং সংবেদনশীল হতে হবে। সব মিলিয়ে আজকের বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে।’’ পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘সংস্কার করতে হবে উন্নয়নশীল দেশগুলির কথা মাথায় রেখে।দরিদ্র রাষ্ট্রের স্বর যেন শোনা যায়।”
আজ নিজের বক্তৃতায় সন্ত্রাসবাদ নিয়েও সরব হয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, “যুদ্ধের ধরণ বদলেছে। সন্ত্রাসবাদও এক ধরণের যুদ্ধ, যা ‘নন স্টেট অ্যাক্টর’রা লড়ে কোনও উর্দি ছাড়াই। যুদ্ধের কোনও নিয়ম সেখানে মানা হয় না।” তাঁর কথায়, শান্তিবাহিনীর ঐতিহ্যগত ভূমিকা হল যুযুধান দু’টি রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তির বাতাবরণ তৈরি করা। কিন্তু এখন গোটা বিষয়টি নতুন রূপ নিচ্ছে। এখন শান্তিবাহিনীর প্রয়োজন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)