লাল কেল্লা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এখনও সরাসরি পাকিস্তানের দিকে তর্জনী নির্দেশ করেনি নয়াদিল্লি। তবে আজ মস্কোয় এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নিজেদের কড়া অবস্থান তুলে ধরলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। উল্লেখ্য, পাকিস্তান এবং চিন এই অক্ষের অন্যতম দুই দেশ। আজ বৈঠকে এসসিও-ভুক্ত রাষ্ট্রের প্রধানদের সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও দেখা হয়েছে তাঁর।
জয়শঙ্কর আজ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “সন্ত্রাসের কোনও রকম যুক্তি, ব্যাখ্যা চলে না। প্রত্যেক দেশকেই এর বিরুদ্ধে কঠোর, সমন্বিত পদক্ষেপ করতে হবে।’’ তাঁর কথায়, “সন্ত্রাসবাদকে কোনও ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। ভারত আগেও দেখিয়েছে যে, আমরা আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকি এবং তা নেওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে।” জয়শঙ্করের আহ্বান, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস দমনে কোনও ফাঁকফোকর রাখা যাবে না। তিনি আজ মনে করিয়ে দেন, এসসিও তৈরি হয়েছিল সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধেলড়াইয়ের জন্য।
লাল কেল্লা বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদী ঘটনা’ বললেও তাকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস হিসাবে দাগিয়ে দেওয়ার এক কদম আগেই থেমে গিয়েছে মোদী সরকার। বিষয়টি ‘দেশবিরোধী শক্তির’ কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের বক্তব্য, ‘যে কোনও সন্ত্রাসকেই যুদ্ধ হিসাবে দেখা হবে’— পহেলগাম হামলার পরে এই ঘোষণা করায় এখন পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলার আগে যথেষ্ট প্রস্তুতি এবং প্রমাণ সংগ্রহ করতে চাইছে সাউথ ব্লক। এসসিও সম্মেলনে সন্ত্রাস নিয়ে জয়শঙ্করের মন্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বার্তা পৌঁছনোর জন্যই করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)