পথে-পথে: শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের ঢোকার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। রবিবার কোচির কাছে। ছবি: রয়টার্স।
শবরীমালা রায় নিয়ে আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ডাকা বৈঠকে যাচ্ছেন না ওই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত এবং পৃষ্ঠপোষক পান্ডালাম রাজপরিবারের প্রতিনিধিরা। তাঁদের বক্তব্য, রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হবে কি না, তা আগে স্পষ্ট হওয়া দরকার।
গত মাসেই শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়ে আগামী কাল মন্দিরের প্রধান পুরোহিত (তন্ত্রী) ও রাজপরিবারকে আলোচনায় ডেকেছিল কেরল সরকার। রাজ্য ইতিমধ্যেই কোর্টের রায় মেনে চলার কথা জানিয়েছে। মন্দিরের তিন প্রধান পুরোহিতের অন্যতম, কান্দারারু মহানারু আজ বলেন, ‘‘রায় পুনর্বিবেচনা নিয়ে সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগে শুনি। তার পরে সিদ্ধান্ত নেব। ঋতুযোগ্য মহিলাদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হলে মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট হবে। মন্দিরে মহিলা পুলিশ মোতায়েন করলেও প্রাচীন রীতি লঙ্ঘন করা হবে।’’
রাজপরিবারের তরফেও জানানো হয়েছে, সিপিএম নেতৃত্বাধীন শাসক জোট সরকার যে হেতু শীর্ষ আদালতের রায় বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে, তাই এখনই আলোচনায় বসে লাভ নেই।
২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায়ে সব বয়সের মহিলাদের জন্য শবরীমালা মন্দির খুলে দেওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদ চলছে দেশের নানা প্রান্তে। কেরলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন শবরীমালা মন্দিরের উপাস্য দেবতা আয়াপ্পার ভক্তেরা। বিজেপি-আরএসএসের সমর্থনে বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে দিল্লিতেও।
আজ আরএসএসের সমর্থনে যন্তর-মন্তরে ছিল প্রতিবাদ সভা। বিজেপি নেতা তরুণ বিজয় যান সেখানে। আরএসএস আগেই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় ও ভক্তদের আবেগ মাথায় রেখে জটের সমাধান খুঁজতে হবে। ধর্মগুরু ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এর জন্য উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছে আরএসএস। তরুণ বিজয় জানান, হিন্দু আস্থায় আঘাতকে মানা যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy