রাজ্যসভায় অভিষেক ভাষণেই বাধা পেলেন মাস্টার ব্লাস্টার। ছবি: পিটিআই।
বাইশ গজে রানের পাহাড় গড়লেও সংসদ-মঞ্চে ব্যাটই ধরতে পারলেন না সচিন তেন্ডুলকর। রাজ্যসভায় অভিষেক ভাষণেই বাধা পেলেন মাস্টার ব্লাস্টার। কংগ্রেস সাংসদদের হইচইয়ে চাপা পড়ে গেল সচিনের স্বর।
বৃহস্পতিবার সংসদে প্রথম বার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল সচিনের। আগে থেকেই ঠিক ছিল, এ দেশে খেলাধুলোর ভবিষ্যৎ এবং খেলার অধিকার নিয়ে নিজের মতামত জানাবেন তিনি। কিন্তু, সচিন বলতে উঠলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে রীতিমতো হইচই শুরু করে দেন কংগ্রেস সাংসদেরা। সদ্যসমাপ্ত গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদীর ‘পাক চক্রান্তে’র মন্তব্য ঘিরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তাঁরা। অনেকেই চিৎকার করে দাবি করতে থাকেন, “প্রধানমন্ত্রী, সভায় আসুন।”
হই-হট্টগোলের মধ্যে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন সচিন। প্রথম কয়েক মিনিট স্মিত হেসেই সভায় দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। বিরোধী পক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচি তখনও চলতে থাকে। সচিনকে ও ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বার বার কংগ্রেস সাংসদের চুপ করতে বলেন। এমনকী, ভারতরত্ন সচিনের সম্মানে অন্তত তাঁদের বিক্ষোভ বন্ধ করা উচিত বলেও জানান তিনি। কিন্তু, তাতেই কোনও কাজ হয়নি। কংগ্রেস সাংসদেরা হইচই করতেই থাকেন। শেষমেশ রাজ্যসভার অধিবেশনের সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বাধ্য হন বেঙ্কাইয়া নাইডু। এর পর এ দিনের মতো অধিবেশন মুলতুবি বলে ঘোষণা করেন তিনি।
আরও পড়ুন
রায়ে উচ্ছ্বসিত গোটা কংগ্রেস, তদন্তকারীদের দায়ী করলেন জেটলি
পাকিস্তান ফেরত সেই গীতার ঘর খুঁজতে টুইট সুষমার
টু-জি: ক্লিনচিট পেলেন রাজা-কানিমোঝি, স্বস্তিতে মনমোহন
২০১২ সালে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন সচিন। সভায় উপস্থিতি নিয়ে অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেছেন। যদিও এ দিন অধিবেশনের শুরু থেকেই বেশ সক্রিয় ছিলেন সচিন। সভায় আলোচনার জন্য সময়ও চেয়ে নেন তিনি। জয়া বচ্চনের পরই বলতে ওঠেন। কিন্তু, বিরোধীদের হইচইয়ের মাঝে পড়ে শুরুই করতে পারেননি তাঁর ভাষণ।
অধিবেশন মুলতুবির পর এ নিয়ে কংগ্রেস সাংসদদের তীব্র সমালোচনা করেন জয়া বচ্চন। টুইটারেও নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। জয়া লিখেছেন, “বিশ্বমঞ্চে ভারতের হয়ে গৌরব অর্জন করেছেন সচিন। এটা খুবই লজ্জার বিষয় যে তাঁকে বলতেই দেওয়া হল না। যদিও আজকের আলোচ্য বিষয়সূচি নিয়ে সকলেই ওয়াকিবহাল ছিলেন।” এর পর জয়ার প্রশ্ন, “শুধুমাত্র রাজনীতিকদেরই কি বলার অধিকার রয়েছে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy