স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছেন। সেখানে স্ত্রী, শ্যালিকা-সহ শ্বশুরবাড়ির বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মোহিত ত্যাগী নামে ওই যুবক। গাজ়জিয়াবাদের মোদীনগর এলাকার ঘটনা।
মোহিতের ভাই রাহুলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই দাদার উপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন বৌদি এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা। স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা, শ্যালক পুনীত, শ্যালিক নীতু এবং আরও দুই আত্মীয় অনিল এবং বিশেষ ত্যাগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মোহিতের পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, চিঠিতে মোহিত অভিযোগ তুলেছেন, স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা গর্ভপাত করানোর জন্য বার বার চাপ দিচ্ছিলেন তাঁর উপর। কারণ প্রিয়ঙ্কা সন্তান চাইতেন না বলে দাবি করেছেন মোহিত। কিন্তু তাঁকে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। সন্তান হওয়ার পরে প্রিয়ঙ্কার আচরণ আরও বদলে গিয়েছিল। প্রতিনিয়ত মোহিতকে গালাগালি করতেন। শুধু তা-ই নয়, প্রিয়ঙ্কার পরিবার তাঁকে নানা রকম মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটানোর হুমকিও দিতেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করে গিয়েছেন মোহিত।
আরও পড়ুন:
মোহিত লিখেছেন, ‘‘আমি মরে গেলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু আমার ছেলে চিকুকে ওরা বাঁচতে দেবে না। ওকেও মেরে ফেলবে। এটা ভেবেই কষ্ট হচ্ছে।’’ ২০২০ সালে সম্ভলের তরুণী প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মোহিতের। ২০২১ সালে দম্পতির এক সন্তান হয়। গত ১৫ এপ্রিল বিষ খান মোহিত। আত্মহত্যার আগে তাঁর যাবতীয় অভিযোগ হোয়াট্সঅ্যাপে আত্মীয়, পরিবার এবং বন্ধুদের পাঠিয়ে দেন। সেই চিঠিই উদ্ধার করেছে পুলিশ।