করোনাকালে তৈরি হওয়া পিএম কেয়ার্স তহবিলকে ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। আজ নিজের এক্স হ্যান্ডলে দু’টি প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “কেন পিএম কেয়ার্স ফান্ড একটি ভেন্টিলেটরে ৪.২ লক্ষ খরচ করেছিল, যখন তার দাম ছিল ১.৫ লক্ষ? দুই, এত বেশি দামে কিনেও কেন সেগুলি ত্রুটিপূর্ণ হল? পিএম কেয়ার্স একটি দুর্নীতি।’’ তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, মোদী সরকার দান হিসেবে কোটি কোটি টাকা নিয়েছিল এবং জনগণের কাছে তা লুকিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই তহবিল তথ্য জানার অধিকারের আওতায় পড়ে না।
পিএম কেয়ার্স তহবিলের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনার সময়ে কেনা হয়েছিল ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর। যার জন্য তহবিল থেকে খরচ হয়েছিল ২১৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি ভেন্টিলেটরের দাম ৪.২ লক্ষ টাকা। তথ্য অনুযায়ী যে সংস্থা থেকে এই ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছিল, সেই এডিভিএ-র সিইও দাবি করছেন, তাঁদের একটি ভেন্টিলেটরের দাম ১.৫ লক্ষ টাকা। অথচ পিএম কেয়ার্স তার জন্য দিয়েছে ৪.২ লক্ষ। সংস্থার তথ্যই তুলে ধরেছেন সাকেত।
সম্প্রতি সংশোধিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিল নিয়ে আলোচনায় পিএম কেয়ার্স তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগে সরব হন বিরোধীরা। সংসদে জবাবি বিতর্কে অমিত শাহ বলেছিলেন, এনডিএ সরকারের আমলে গড়া পিএম কেয়ার্স তহবিলের অর্থ কোভিডের টিকা, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেনযুক্ত শয্যা কেনার কাজে খরচ হয়েছে। কোন খাতে কত খরচ হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতেন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সচিব। ফলে দুর্নীতি হওয়ার প্রশ্নই নেই। সরকারের বক্তব্য, এটি জনগণের করের টাকায় তৈরি সরকারি তহবিল নয়। তাই তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় আসে না। এটা সরকারি সংস্থা নয়, দাতব্য তহবিল। যা নিয়ন্ত্রণ করেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য অছিরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)