বিস্ফোরক অভিযোগ সঞ্জয় রাউতের। ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের সরকার ভাঙতে সাহায্য না করলে জেল হতে পারে তাঁর। হুমকি দিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট(ইডি)। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে চিঠি দিলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
সঞ্জয়ের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করছে তদন্তকারী সংস্থাটি। যদি সরকার মাঝপথেই ভেঙে না দেওয়া হয় তা হলে তাঁর হাজতবাস হতে পারে বলেও হুমকি দিচ্ছে ইডি। সঞ্জয়ের আরও দাবি, তদন্তকারী সংস্থাটির আধিকারিকরাই স্বীকার করেছেন যে, তাঁকে এ বিষয়ে ‘ফাঁসানো’র নির্দেশ দিয়েছেন তাঁদের বসরা।
শিবসেনা সাংসদের দাবি, মাসখানেক আগে কয়েক জন এসে তাঁকে বলেন মাঝপথেই সরকারকে উল্টে দিতে হবে। আর এ ব্যাপারে সাহায্য করতে হবে তাঁদের। তাঁর কথায়, “আমাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। কিন্তু আমি তাতে সায় না দেওয়ায় হুমকি দেওয়া হয় এর জন্য বড়সড় মাসুল দিতে হবে। এমনকি এটাও বলা হয় যে, প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর মতো আমারও হাজতবাস হতে পারে।”
সঞ্জয় আরও দাবি করেন, তিনি ছাড়াও সরকারের মন্ত্রিসভার দুই শীর্ষ মন্ত্রী, দুই শীর্ষ নেতাকেও আর্থিক তছরুপ মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানো হবে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা জেলে থাকলে এমনিতেই সরকার ভেঙে যাবে, এমনও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সঞ্জয়ের।
সঞ্জয়ের অভিযোগ, ১৭ বছর আগে আলিবাগে প্রায় এক একর জমি কিনেছিলেন। যাঁর কাছ থেকে সেই জমি কিনেছিলেন তাঁকেও ইডি এবং অন্য তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার এবং তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ভয় দেখাচ্ছে। তাঁর কথায়, “রাজ্যসভায় মনোনয়নপত্র পেশের সময় সম্পত্তির হিসেব দিয়েছিলাম। এত বছর ধরে কোনও প্রশ্ন তোলা হয়নি। হঠাৎ করে ইডি এবং অন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখন সেই সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত শুরু করছে কেন?”
শিবসেনা সাংসদের আরও অভিযোগ, ২৮ জনকে ইতিমধ্যেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁদের চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ না খুললে তার ফল ভুগতে হবে। বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের পর থেকেই শিবসেনা নেতা, সাংসদ, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
তবে এ সব কিছুতেও তিনি ভয় পাওয়ার পাত্র নন। দমেও যাবেন না বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সঞ্জয়। বরং যেটা সত্য সেটাই তিনি বলবেন বলে জানিয়েছেন শিবসেনা সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy