Advertisement
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Uttar Pradesh

বাড়ি থেকে পালিয়ে অফিসার হয়ে ফিরলেন মেয়ে, বিয়ের চাপে ঘর ছেড়েছিলেন সাত বছর আগে

এক রাশ অনিশ্চয়তা নিয়ে ছেড়েছিলেন বাড়ি। সেই ঘটনার সাত বছর পর সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরেছেন।

কমার্শিয়াল ট্যাক্স অফিসার হিসাবে কাজে যোগ দেবেন সঞ্জুরানি বর্মা। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

কমার্শিয়াল ট্যাক্স অফিসার হিসাবে কাজে যোগ দেবেন সঞ্জুরানি বর্মা। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
মেরঠ শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৯:৫৭
Share: Save:

সময়টা ২০১৩। গ্র্যাজুয়েশন করে ফেলেছেন উত্তরপ্রদেশের মেরঠের সঞ্জুরানি বর্মা। স্নাতকোত্তরের জন্য ভর্তিও হয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর ইচ্ছা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। কিন্তু পরিবার বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। বিয়ে ও স্বপ্নের মধ্যে নিজের স্বপ্নপূরণের পথই সে দিন বেছেছিলেন সঞ্জু। এক রাশ অনিশ্চয়তা নিয়ে ছেড়েছিলেন বাড়ি। সেই ঘটনার সাত বছর পর সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তবে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) পাশ করে স্বপ্নপূরণ হওয়ার পর। আগামী দিনে কমার্শিয়াল ট্যাক্স অফিসার হিসাবে কাজে যোগ দেবেন তিনি।

এ ব্যাপারে সঞ্জু বলেছেন, ‘‘২০১৩-তে আমি শুধু আমার বাড়ি নয়, স্নাতকোত্তর কোর্স ছাড়তেও বাধ্য হয়েছিলাম। কারণ আমার কাছে কোনও টাকা ছিল না। আমি একটি ঘর ভাড়া নিয়ে বাচ্চাদের পড়ানো শুরু করি। সেখানেই থাকতাম। পরে বেসরকারি স্কুলে আংশিক সময়ের জন্য শিক্ষকতার চাকরিও করতাম। যে করেই হোক আমাকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা চালাতে হত।’’

গত সপ্তাহে বেরিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন-২০১৮-র ফলাফল। সেই পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হয়েছেন সঞ্জু। সেই পরীক্ষা পাশ করার জেরে আগামী দিনে কমার্শিয়াল ট্যাক্স অফিসার হিসাবে যোগ দেবেন তিনি। তবে এই পরীক্ষা পাশ করেই রণে ভঙ্গ দিচ্ছেন না তিনি। তাঁর লক্ষ্য আরও উঁচু তারে বাঁধা। সিভিল সার্ভিস পাশ করে মহকুমা শাসক হওয়ার স্বপ্ন এখনও দেখছেন তিনি।

আরও পড়ুন: শীতের প্রস্তুতি লাদাখে, মস্কো-কথার আগে গুলি চালায় চিন

কিন্তু ২০১৩-তে বাড়ি ছাড়ার দিনগুলি মোটেই সুখকর ছিল না সঞ্জুর। সাফল্যের আনন্দের মধ্যেও সে দিনের স্মৃতি এখনও কাঁদায় তাঁকে। সাত বছর আগের কঠিন পরিস্থিতির স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেছেন, ‘‘সে বছরই আমার মা মারা গিয়েছিলেন। তার পর থেকেই পরিবারের লোক বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি আমার ইচ্ছার কথা অনেকবার বোঝাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ শোনেননি। বাড়িতে থেকে আমি আর কোনও আশার আলো দেখছিলাম না। তাই বাড়ি ছেড়ে একা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’’

এই সাত বছরে সঞ্জুর লড়াই কম কঠিন ছিল না। তাঁর কথায়, ‘‘আমার বাড়ির লোক মোটেই খুশি হননি আমার এই পদক্ষেপে। তার উপর সামাজিক চাপও ছিল। কিন্তু আমি আমার দায়িত্ব ও লক্ষ্যের ব্যাপারে সচেতন ছিলাম।’’

আরও পড়ুন: এ বছরই ভারতের বাজারে মিলতে পারে দুই বিদেশি টিকা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE