মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হল নিষিদ্ধ সংগঠন ‘স্টুডেন্ট্স ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (সিমি)-র প্রাক্তন নেতা সাকিব নাচনের (৫৭)। জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট্স’ (আইএস)-এর ভারতীয় শাখারও প্রধান ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে গ্রেফতারির পর থেকে তিহাড়ে বন্দি ছিলেন সাকিব। শনিবার বিকেলে দিল্লির সফদারগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে আইএস-এর জঙ্গি কার্যকলাপ সংক্রান্ত একটি মামলায় সাকিবের নাম উঠে আসে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তাঁকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেই থেকে দিল্লিতে তিহাড় জেলে রাখা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, জেল হেফাজতে থাকাকালীন গত মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকিব। ওই দিনই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শনিবার সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। হাসাপাতাল সূত্রে খবর, সাকিবের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। গত চার দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই ছিলেন তিনি। শনিবার সকালে সাকিবের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে এবং দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর।
২০২৩ সালে সাকিবকে গ্রেফতারের সময় এনআইএ জানিয়েছিল, আইএসের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের প্রচারে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। তদন্তকারী সংস্থা আরও জানিয়েছিল, জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি, পরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার সঙ্গেও জড়িত ছিল তিনি। সাকিবের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০০২-০৩ সালে মুম্বইয়ের বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম আসামি সাকিব। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে তাঁর কারাদণ্ড হয়েছিল। ১০ বছর জেলে ছিলেন। পরে ২০২৩ সালে আইএসের জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সাকিব-সহ আরও বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সাকিবই ছিলেন ওই মামলায় মূল অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন:
চলতি মাসের শুরুতেই জঙ্গিযোগের তদন্তে মহারাষ্ট্রের ঠাণে থেকে ১২ জনকে আটক করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। নিষিদ্ধ সংগঠন সিমি-র কয়েক জন প্রাক্তন নেতা এবং সদস্যের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। ওই অভিযানের ১২ জনকে আটকের পাশাপাশি বেশ কিছু সন্দেহজনক নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত হয়।