শপথগ্রহণের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সর্বানন্দ সোনোয়াল। বুধবার দিল্লিতে। ছবি পিটিআই।
তাঁর নেতৃত্বেই তিন দফার কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে অসম দখল করেছিল বিজেপি। পাঁচ বছর সাফল্যের সঙ্গে সরকার চালানোর পরেও মুখ্যমন্ত্রীর গদি ধরে রাখার লড়াইয়ে হারতে হয়েছিল সর্বানন্দ সোনোয়ালকে। অভিমানী সর্বানন্দ শপথ-পর্ব সেরেই বলেছিলেন, এ বার থেকে তিনি শুধু মাজুলির বিধায়ক। ফিরিয়ে দেন জ়েড প্লাস নিরাপত্তাও। দু’মাসের মাথায় অভিমান সরিয়ে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় ফিরলেন সর্বানন্দ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যে রেখে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের চোরাস্রোতের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে চায়নি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। তাই নরেন্দ্র মোদী নিজে সর্বানন্দকে দিল্লি তলব করে মন্ত্রী হতে রাজি করান।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে ‘দাদার মতো’ সর্বানন্দের আশীর্বাদ নিয়েছিলেন হিমন্তবিশ্ব। পরেও একাধিক বার একা বা মন্ত্রিপরিষদকে নিয়ে সর্বানন্দের পরামর্শ নিতে গিয়েছেন। এ দিন সর্বানন্দর শপথ গ্রহণের পরে হিমন্তবিশ্ব বলেন, “সর্বানন্দ সোনোয়াল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় আমি গর্বিত। অসমকে পাঁচ বছর সফল ভাবে সরকার চালিয়েছেন তিনি। আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তাঁর কাছ থেকে প্রতি দিন আমি শিখি, শক্তি ও প্রেরণা পাই। উন্নত অসমের সোপান গড়েছেন তিনি। তাঁর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দেশের সম্পদ হবে।”
কংগ্রেসের প্রাক্তন যে বিধায়ককে পরাজিত করে মাজুলির বিধায়ক ও পরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সর্বানন্দ, সেই রাজীব লোচন পেগুই কি মাজুলিতে বিজেপির হয়ে সর্বানন্দের নির্বাচনী কেন্দ্রের দখল নেবেন? তেমন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত কাল মাজুলি কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে হঠাৎই ইস্তফা দেন রাজীব। তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হতে পারেন বলে জল্পনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy