নতুন কোভিড রোগীর সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার পেরোল, মোট সুস্থের সংখ্যা পেরোল দু’লক্ষ। আর একই দিনে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, কোভিড রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের প্যানেল তৈরি করতে এবং হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হবে। বিভিন্ন রাজ্যে করোনা পরীক্ষার খরচে সামঞ্জস্য প্রয়োজন বলেও মনে করে শীর্ষ আদালত। এ দিকে, করোনায় আক্রান্ত দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের অবস্থা গুরুতর। তাঁর প্লাজ়মা থেরাপি হবে।
আজ দেশে ‘রেকর্ড’ সংক্রমিত ১৩,৫৮৬ জন। মৃত আরও ৩৩৬। অ্যাক্টিভ রোগী ১,৬৩,২৪৮ জন, সুস্থ ২,০৪,৭১০ জন। একটি সমীক্ষা বলছে, ভারতে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে ৩.৬% হারে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। ব্রাজিলে এই হার ৩.২%, রাশিয়ায় ১.৭%, আমেরিকায় ১.১%।
দিল্লিতে সংক্রমিত প্রায় ৫০ হাজার। রোগীদের দুর্দশার অভিযোগ নিয়ে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারকে আগেই ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজও বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালের কথা উল্লেখ করে বলেছে, রোগীরা ঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন কি না, তাতে নজরদারির জন্য ওয়ার্ডে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো দরকার। পরবর্তী কালে এই মর্মে নির্দেশ জারি করতে পারে কোর্ট।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গৃহ-নিভৃতবাসে উল্টো বিপত্তির আশঙ্কাও ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। বিশেষত ঘিঞ্জি এলাকায় এর ফলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আজ রাজ্যগুলিকে চিঠিতে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল। চিঠিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মনে করলে তবেই গৃহ-নিভৃতবাসের অনুমতি দেওয়া হবে। মুচলেকা দিতে হবে রোগীকেও। সঙ্গে চলবে চিকিৎসকদের নিয়মিত নজরদারি।