প্রতীকী ছবি।
বিচারপতি কে এম জোসেফকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করার জন্য দ্বিতীয় বার সুপারিশ করা হবে কি না, তা নিয়ে আজ প্রাঁচ প্রবীণ বিচারপতির কলেজিয়ামে সবিস্তার আলোচনা হল। তবে কোনও সিদ্ধান্ত হল না মিনিট পঞ্চাশের ওই বৈঠকে।
কলকাতা, রাজস্থান, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের কোনও বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে পদোন্নতি দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। যুক্তি, সব হাইকোর্টের সমান প্রতিনিধিত্ব রাখা। সিদ্ধান্ত হয়নি এ বিষয়েও। সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রস্তাব ওঠে আগে বিচারপতি জোসেফের বিষয়টি মিটুক। তাঁর পরে অন্য বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে ভাবা যাবে। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র সেই যুক্তিতে সায় দেননি। বিষয়গুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী শুক্রবার কলেজিয়ামের বৈঠক হতে পারে ফের। বিচারপতি জাস্তি চেলমেশ্বর আজ কোর্ট থেকে ছুটি নিলেও বিকেলের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন।
কলেজিয়াম প্রবীণ আইনজীবী ইন্দু মলহোত্র ও বিচারপতি জোসেফ, দু’জনের নাম সুপারিশ করেছিল গত জানুয়ারিতে। প্রথম জন এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। কিন্তু জোসেফের ক্ষেত্রে কেন আপত্তি? বিরোধীদের অভিযোগ, উত্তরাখণ্ডে মোদী সরকারের রাষ্ট্রপতি শাসনের সিদ্ধান্ত তিনি খারিজ করেছিলেন। আপত্তির পিছনে সেটাই। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ অবশ্য আজ বলেছেন, ‘‘ওই রায়ের সঙ্গে বিচারপতি জোসেফের নিয়োগের বিষয়টির কোনও সম্পর্ক নেই।’’ কেন্দ্র মনে করছে, তাঁকে নিয়োগ করলে কেরল হাইকোর্ট থেকে একাধিক বিচারপতি হয়ে যাবেন। অথচ কলকাতা, রাজস্থান, গুজরাতের মতো অনেক রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব নেই।
কেন্দ্রের ওই যুক্তি নিয়ে প্রতিবাদ হলেও প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র মন্তব্য করেছিলেন, কেন্দ্র তার এক্তিয়ারে থেকেই কলেজিয়ামের সুপারিশ ফেরত পাঠিয়েছে। প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের মন্তব্য, ‘‘সিদ্ধান্ত পিছনোটা দুর্ভাগ্যজনক। আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে সরকারের আপত্তি ভিত্তিহীন। কলেজিয়ামের উচিত ছিল, বিচারপতি জোসেফের নাম ফের সুপারিশ করা।’’ প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি থেকে প্রবীণ আইনজীবী, একই দাবি অনেকেরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy