প্রতীকী ছবি।
শর্তসাপেক্ষে ডিটেনশন শিবিরে বন্দি সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের মুক্তি দেওয়া এবং লক্ষাধিক চিহ্নিত বাংলাদেশির সঠিক হদিস দিতে না পারায় সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন অসমের মুখ্যসচিব অলোক কুমার। ডিটেনশন শিবিরে সন্দেহভাজন বিদেশিদের অবস্থা নিয়ে মানবাধিকার কর্মী হর্ষ মান্দার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। গতকাল শুনানির সময় বন্দিদের সংখ্যা ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি-সহ হলফনামা জমা দেয় অসম সরকার। জানায়, গত ৬ বছরে ১ লক্ষ ১২ হাজার ব্যক্তিকে বিদেশি চিহ্নিত করেছে ফরেনার্স ট্রাইবুনাল। ৯০০ জন ডিটেনশন শিবিরে আছেন। ৪ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রাজ্য প্রস্তাব দেয়, যে হেতু সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তাই অনির্দিষ্টকাল বন্দিদশা থেকে রেহাই দিতে পাঁচ বছরের বেশি বন্দি থাকা ব্যক্তিদের পাঁচ লক্ষ টাকার বন্ডে, ঠিকানা ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। এতেই ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি মুখ্যসচিবকে বলেন, ‘‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে থাকার অধিকারই নেই। অসম তাদের বিতাড়ণে ব্যর্থ। লক্ষাধিক বাংলাদেশির খোঁজ দিতে পারেনি সরকার। এখন শর্তসাপেক্ষে তাদের রাজ্যে রেখে দেওয়ার আইনবিরুদ্ধ প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি মুখ্যসচিবকে বলেন, ‘‘আপনার এই পদে থাকার যোগ্যতাই নেই।’’ মুখ্যসচিব ক্ষমা চেয়ে নেন।
মুখ্যমন্ত্রীর আইনি উপদেষ্টা শান্তনু ভরালি জানান, রাজ্যের ক্ষমতা সীমিত। সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে হলফনামা দেওয়া হবে। যাঁরা জেলের বাইরে আছেন তাঁদের অধিকাংশেরই নাগরিকত্ব নিয়ে মামলা চলছে। তার ভিত্তিতেই জামিনে মুক্ত তাঁরা। সরকার চার জনকে ফেরত পাঠানোর কথা উল্লেখ করায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। কারণ, গত বছর জুনে ৫২ জন ও এ বছর জানুয়ারিতে ২১ জন বাংলাদেশিকে গুয়াহাটির সহকারী হাই কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। সহকারী হাই কমিশনার তনভির মনসুর সব ডিটেনশন শিবির ঘুরে সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন ও তাঁদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy