বৃদ্ধ বাবা-মাকে খুনের পরে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেন যুবক। উত্তরপ্রদেশের ওই ঘটনায় কিছু দেহাংশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তা থেকে মৃতদের শনাক্তও করেছেন তদন্তকারীরা। মৃতদের নাম শ্যাম বাহাদুর (৬২) এবং ববিতা (৬০)। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত অম্বেশ বাহাদুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পেশায় ইঞ্জিনিয়র অম্বেশ কেন এই কাণ্ড ঘটালেন, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে আরও বেশ কিছু তথ্য তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে।
উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর এলাকার ওই ঘটনায় প্রথমে অম্বেশের বোন বন্দনা একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন থানায়। পুলিশকে তিনি জানান, তাঁর বাবা-মা এবং দাদাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি থানায় আরও জানান, গত ৮ ডিসেম্বর অম্বেশের সঙ্গে তাঁর শেষ বার ফোনে কথা হয়েছিল। ওই সময়ে অম্বেশ তাঁকে বলেছিলেন, বাবা-মা ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। অম্বেশ তাঁদের খুঁজতে বেরোচ্ছেন। তার পর থেকে দাদার সঙ্গে আর কোনও কথা হয়নি তাঁর। দাদার ফোনও সুইচ্ড অফ আসছিল।
এরই মধ্যে অম্বেশ মোবাইল চালু করেন। বন্দনাকে ফোনও করেন। তাঁর ফোন সুইচড অন হতেই পুলিশের সন্দেহ যায় অম্বেশের দিকে। সেই সূত্র ধরে অম্বেশকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়েন অম্বেশ। স্বীকার করে নেন ঘটনার কথা।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে উঠে এসেছে ওই গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অম্বেশের বিবাহ। ভিন্ধর্মের এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। বাড়ির কেউই সেই বিয়ে মেনে নিতে চাননি। তা নিয়ে বাবা এবং ছেলের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। পরবর্তী সময়ে অম্বেশ এবং তাঁর স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। স্ত্রীর খোরপোশের অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন অম্বেশ। বাবার কাছে টাকা চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা না পাওয়ায় বাবার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই বচসার জেরেই তিনি বাবা-মা-কে খুন করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, শিলনোড়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে তিনি হত্যা করেন বাবা-মাকে। পরে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে নদীর জলে ভাসিয়ে দেন।