এ দেশে জলের প্লাস্টিকের বোতল বা খাবারের প্যাকেটে যে রাসায়নিক থাকে, তা থেকে হতে পারে ক্যানসার! এগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মেনে চলা হোক বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নীতি। এই নিয়ে ভারতের খাদ্য নিয়ামক সংস্থা এফএসএসএআই-এর যে নীতি রয়েছে, তাতেও আছে ফাঁকফোকর। এই মর্মে পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই পিটিশন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এ সবই হল ‘ধনীদের শহুরে আতঙ্ক’।
এফএসএসএআই-এর নীতিতে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে বলা হয়েছিল, এ দেশে জলের বোতল এবং প্যাকেটের উপকরণ হিসাবে সামান্য পরিমাণে অ্যান্টিমোনি এবং ডিইএইচপি রাখার বিষয়ে সম্মতি রয়েছে এফএসএসআই-এর নীতিতে। পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, এই রাসায়নিক থেকে ক্যানসার হতে পারে জেনেও বোতল বা প্যাকেটের উপকরণে তা সামান্য পরিমাণে রাখার বিষয়ে আপত্তি করেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই রাসায়নিকগুলি এখনই নিষিদ্ধ করা হোক। এ ক্ষেত্রে হু-র নিয়ম মেনে চলা হোক। প্রসঙ্গত, প্যাকেটকে নমনীয় করার জন্য এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে জমা পড়ে পিটিশন।
এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত জানান, ভারতের জায়গায় জায়গায় ঘুরে বাস্তবের সঙ্গে পরিচিত হওয়া প্রয়োজন আবেদনকারীর। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘তাঁকে ভারতের জায়গায় জায়গায় ঘুরতে বলুন, তা হলেই তিনি বুঝতে পারবেন, এ দেশ আসলে কী। মানুষজন কত জায়গায় জল পান না।’’ এর পরে তিনি মহাত্মা গান্ধীর প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন। দেশের প্রধান বিচারপতি জানান, গান্ধী যখন এ দেশে প্রথম এসেছিলেন, তখন তিনি দেশের গরিব এলাকায় যেতেন। আবেদনকারীরও সে সব জায়গায় যাওয়া উচিত, যেখানে জলের অভাব রয়েছে। তা হলেই বাস্তবটা বুঝতে পারবেন তিনি।