উত্তরাখণ্ডের মসনদ ফিরে পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা আবার হারাতে হল হরীশ রাওয়াতকে। রাষ্ট্রপতি শাসন বাতিল করার যে সিদ্ধান্ত নৈনিতাল হাইকোর্ট নিয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ফলে শুক্রবার বিকেল থেকে ফের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে গেল উত্তরাখণ্ডে। মামলার শুনানি হবে বুধবার।
ন’জন কংগ্রেস বিধায়কের বিদ্রোহের জেরে উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এসেছিল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু আস্থা ভোট হওয়ার আগেই সরকারকে বরখাস্ত করে উত্তরাখণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেয় কেন্দ্র। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নৈনিতাল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দুপুরে নৈনিতাল হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের কার্যভার গ্রহণ করেন হরীশ রাওয়াত। ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকে ১১টি বড় সিদ্ধান্তও নেন। ২৯ এপ্রিল উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবেন বলেও রাওয়াত জানান। কেন্দ্রীয় সরকার নৈনিতাল হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্ট এখনও নৈনিতাল হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করেনি। তবে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে বুধ বার পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি শাসনেই থাকছে উত্তরাখণ্ড। কংগ্রেসের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল, এই রাষ্ট্রপতি শাসন চলাকালীনই উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল বিজেপি-কে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন এবং বিজেপি সরকার গঠন করবে। কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে প্রতিশ্রুতি দেয়, এর মধ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া কোনও ভাবেই শুরু করা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy