পারিবারিক বা ফ্যামিলি পেনশনের সুবিধা বাড়ছে অসমে। রাজ্যের সপ্তম বেতন কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তার বিশদ ব্যাখ্যা করে রাজ্য অর্থ দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে কোনও কাটছাঁট হচ্ছে না। বরং নয়া সুপারিশে লাভবানই হবেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর পরিবার।
নতুন সুপারিশ অনুযায়ী, কোনও কর্মী যদি তাঁর ৬৭ বছর বয়স হওয়ার আগেই মারা যান, তবে তাঁর পরিবার (স্ত্রী/স্বামী) এই সময়টুকু পুরো হারেই পেনশন পাবেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে ওই সরকারি কর্তা জানান, (এক) ধরা যাক, কোনও কর্মী ৬০ বছর বয়সে অবসর নিয়ে ৬১ বছর বয়সে মারা গেলেন। সে ক্ষেত্রে বাকি ছ’বছর, অর্থাৎ মৃত কর্মীর ৬৭ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত তাঁর পরিবার পুরো হারে পেনশন পাবেন। তার পর থেকে চালু হবে নির্ধারিত হারে পারিবারিক বা ফ্যামিলি পেনশন। এবং সেই পারিবারিক পেনশন মৃত কর্মীর স্ত্রী/স্বামী আমৃত্যুই পাবেন। (দুই) এই সুবিধা সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত পাওয়া যাবে। তার বেশি নয়। অর্থাৎ ধরা যাক কোনও কর্মী যদি চাকুরিরত অবস্থায় ৫৫ বছর বয়সে মারা যান, তবে তাঁর পরিবার মৃত কর্মীর ৬৫ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত পুরো পেনশন পাবেন। তার পর থেকে চালু হবে ফ্যামিলি পেনশন। আবার কোনও কর্মী যদি ৫৯ বছর বয়সে মারা যান, সে ক্ষেত্রে তাঁর পরিবার কিন্তু পুরো পেনশন পাবেন তাঁর ৬৭ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত। তার পর থেকে চালু হবে ফ্যামিলি পেনশন। (তিন) এমনিতে কোনও কর্মী অবসর নেওয়ার পর তিনি যত দিন বেঁচে থাকবেন পুরো পেনশনই পাবেন। যেমন, কেউ যদি অবসরের পর ১৫ বছর বেঁচে থাকেন, তবে তত দিন তিনি পুরো পেনশন পাবেন। তাঁর মৃত্যু হলে চালু হবে তাঁর স্ত্রী বা স্বামীর জন্য ‘ফ্যামিলি পেনশন’। (চার) এ ছাড়াও কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বয়স ৮০ পেরোলে তাঁর পেনশন ২০ শতাংশ বাড়বে। অর্থাৎ সার্বিক ভাবে সরকারি কর্মীরা লাভবান হবেন বলেই সরকারের ব্যাখ্যা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমরা দুঃখিত।