পিস্তল নিয়ে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে ঢুকে পড়লেন এক মহিলা। এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কী ভাবে নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে মন্দিরের ভিতরে ঢুকে পড়লেন তা নিয়েও শুরু হয়েছে তদন্ত। কোথায় গাফিলতি ছিল, কার গাফিলতি ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অস্ত্র-সহ মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সমাজমাধ্যম প্রভাবী ওরির ঘটনা নিয়ে বিতর্ক এবং শোরগোলের মধ্যে সেই বৈষ্ণোদেবীতেই আবার অস্ত্র-সহ মহিলার গ্রেফতারির ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ১৪ মার্চের গভীর রাতের। বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার। আর তার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম জ্যোতি গুপ্ত। তিনি দিল্লি পুলিশে কর্মরত। কিন্তু তাঁর কাছে যে পিস্তলটি ছিল, সেটির লাইসেন্সের মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছিল। রিয়াসি থানার পুলিশ জ্যোতিকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর পিস্তলটি বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে।
রিয়াসির পুলিশ সুপার পারমিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, ধৃত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। কেন পিস্তল নিয়ে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করেছিলেন জ্যোতি, তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, গত ১৫ মার্চ ওরি এবং তাঁর সাত বন্ধুর বিরুদ্ধে কাটরার কটেজ স্যুট এলাকায় মদ্যপানের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এই জায়গাকে হিন্দু ধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসাবে মান্যতা দেওয়ায় আমিষ খাবার ও মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেখানে। সেই নিয়মই লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে ওরিকে।