—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সামগ্রিক ভাবে কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা আগের তুলনায় অনেক কমলেও নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন দু’টি জেলা নিয়ে সেনাকে সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেই ওই দু’টি জেলায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে নিয়মিত টহলদারিও। সেনা সূত্রেই জানা গিয়েছে, জেলা দু’টি হল রাজৌরি এবং পুঞ্চ।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০০ সালের পর গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলেও তুলনায় শান্ত ছিল এই দু’টি জেলা। তার পর অবশ্য একাধিক হিংসাত্মক ঘটনায় বার বার সংবাদ শিরোনামে আসে রাজৌরি এবং পুঞ্চ। সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, গলওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের পর ধীরে ধীরে সেনা কমানো হয় এই দু’টি জেলায়। কিন্তু সম্প্রতি কাশ্মীরের অন্যত্র বাধা পেয়ে পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা এই দু’টি জেলায় ঢুকছে বলে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসের পর এখনও পর্যন্ত ২৬ জন সেনাকর্মী, তিন জন সেনা আধিকারিক এবং সাত জন নাগরিক জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন পির পঞ্জাল রেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত এই দুই জেলায়। এই প্রসঙ্গে সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “এই দুই জেলায় টহল দেওয়ার সময়ে আমরা সচেতন থাকছি। এমনও হতে পারে যে, কোথাও আমরা অনুপ্রবেশ রুখে দিলাম। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে অন্য কোনও অংশ দিয়ে জঙ্গিরা ঢুকে পড়ল।” এই প্রসঙ্গেই পাকিস্তানের কৌশল ব্যাখ্যা করে ওই সেনা আধিকারিকের সংযোজন, “২০-৩০ শতাংশ অনুপ্রবেশকারীকে এনকাউন্টারে ঘায়েল করা হলেও আবার বাইরের লোক ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।” সারা বছরই এই দু’টি জেলার সীমান্তবর্তী রাস্তা খোলা থাকায় অনুপ্রবেশকারীরা বিশেষ সুবিধা পায় বলেও জানিয়েছেন ওই সেনাকর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy