Advertisement
E-Paper

চলতি বছরে নিহত ১৪ জন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরো সদস্য! লোকসভায় জানাল শাহের মন্ত্রক

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য বলছে, এখন কেবলমাত্র ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের তিনটি জেলা— সুকমা, বিজাপুর এবং নারায়ণপুরই ‘অতি মাওবাদী উপদ্রুত’। মোট মাওবাদী প্রভাবিত জেলার সংখ্য়া ১১।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫০
অমিত শাহ।

অমিত শাহ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

গত ছ’বছরে যৌথবাহিনীর অভিযানে মোট ২৯ জন শীর্ষস্তরের মাওবাদী নেতা নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে এই বছরই ১৪ জন। মঙ্গলবার লোকসভায় এই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নিহত ১৪ নেতা নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটি বা পলিটব্যুরো সদস্য বলে মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর ডেপুটি নিত্যানন্দ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সশস্ত্র নকশালপন্থা উপদ্রুত জেলার সংখ্যা ২০১৮ সালের এপ্রিলে ১২৬টি ছিল, যা ২০২১ সালের জুলাই মাসে ৯০টি, ২০২৪ সালের এপ্রিলে ৭০টি, ২০২৫ সালের এপ্রিলে ৩৮টি এবং ২০২৫ সালের অক্টোবরে আরও ১১টিতে নেমে এসেছে।’’ মোট ২৭টি জেলা নিরাপত্তা নজরদারির তালিকায় রয়েছে জানিয়ে তাঁর ঘোষণা, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফল নির্দেশনায়, বামপন্থী চরমপন্থা ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্মূল করা হবে।’’

চলতি বছরে মাওবাদী সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু ওরফে গগন্না, পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি, তাঁর স্ত্রী রবি ভেঙ্কাটা লক্ষ্মী চৈতন্য ওরফে অরুণা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরসিংহচলম ওরফে সুধাকর, টেক শঙ্কর, মাওবাদী গেরিলা বাহিনী পিএলজিএ-র প্রধান মাধবী হিডমার মতো শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা বস্তারের জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে গত এক বছরের ধারাবাহিক অভিযানের জেরে ‘রেড করিডরে’ সক্রিয় মাওবাদীর সংখ্যা শ’দুয়েকে নেমে এসেছে। প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতি ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির যে সদস্যরা রয়ে গিয়েছেন, তাঁরা হলেন, পি হনুমানথু ওরফে গণেশ, পি নরহরি ওরফে বিশ্বনাথ, এম দেব ওরফে রামদার, মিসির বেসরা, অনল দা, মাজ্জিদেব।

বর্তমান সাধারণ সম্পাদক থিপরি তিরুপতি বা দেবজি এবং পিএলজিএ প্রধান বি দেবাও রয়েছেন এই তালিকায়। ২০২৪ সালের পর থেকে মাওবাদী হামলার ঘটনা ৮১ শতাংশ কমেছে দাবি করে মঙ্গলবার শাহের ডেপুটি বলেন, ‘‘২০০৪ থেকে ২০১৪ (সেই বছরের মে পর্যন্ত) মাওবাদী হামলায় ৬৫০৮ জন নিহত হয়েছিলেন। যাঁদের মধ্যে ৪৬৮৪ জন অসামরিক নাগরিক এবং ১৮২৪ জন নিরাপত্তা কর্মী। পরবর্তী দশকে, ২০১৫ থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৭১ শতাংশ কমে ১৮৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে ১৪০৪ জন সাধারণ নাগরিক এবং ৪৬৪ জন নিরাপত্তা কর্মী। এই বছরের মে থেকে নভেম্বরের মধ্যে ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।’’

Ministry of Home Affairs CPI Maoist MHA Amit Shah CPI-Maoist Maoists Naxals
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy