পাকিস্তানে ভারতের প্রত্যাঘাতের পর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আরও কড়া নজরদারি শুরু হল নয়াদিল্লিতে। বিশেষ করে ঐতিহাসিক জায়গাগুলিতে সুরক্ষাব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। লালকেল্লা থেকে কুতুব মিনার, সর্বত্রই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। পাশাপাশি নয়াদিল্লির বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষামূলক ভাবে ‘এয়ার সাইরেন’ বাজানো হয়েছে শুক্রবার।
তাজমহলের সামনে আগেই জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। এ বার অন্যান্য ঐতিহাসিক এবং দর্শনীয় স্থানেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া যে রাস্তাগুলোয় যান চলাচল বেশি থাকে, সেগুলোতেও অমিত শাহের মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছে। ডিরেক্টরেট অফ সিভিল ডিফেন্সের তরফে সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
শুক্রবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি অফিস, আদালত এবং বড় বড় নির্মাণগুলির নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। আর লালকেল্লা, কুতুব মিনার ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানে যেহেতু পর্যটক এবং স্থানীয়দের ভিড় বেশি থাকে, সে জন্য সেখানেও দিল্লি পুলিশ আলাদা করে নজর রাখছে। শুক্রবার দুপুর ৩টে থেকে রাজধানীর আইটিও-তে পিডব্লিউডি ভবনের ছাদে বসানো এয়ার রেইড সাইরেন পরীক্ষামূলক ভাবে বাজানো হয়। ১৫–২০ মিনিট ধরে এই পরীক্ষা চলে। পিডব্লিউডি মন্ত্রী প্রবেশ বর্মা বলেন, ‘‘দিল্লির সব বড় বড় ভবনে সাইরেন বসানো হবে। ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় সাইরেন শোনা যাবে। শুক্রবার রাত থেকে ৪০-৫০টি নতুন সাইরেন বসানো শুরু হবে। সেগুলো একটি কমান্ড সেন্টার থেকে চালানো যাবে।’’
আরও পড়ুন:
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে ‘প্রত্যাঘাতের’ পথে হেঁটেছে পাকিস্তান। শুক্রবার অবন্তিপুরা, শ্রীনগর, পঠানকোট, অমৃতসর, কপূরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড় ইত্যাদি স্থান ‘টার্গেট’ করে পাক সেনা। যদিও ভারতীয় সেনার প্রতিরোধে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে দিল্লির বিভিন্ন স্থানে সতর্কতা জারি হয়েছে। চলছে পুলিশের অতিরিক্ত নজরদারি। অন্য দিকে, শনিবার বিকেল পর্যন্ত দেশের ২৭টি বিমানবন্দর বন্ধ থাকছে। তার ফলে অনেক বিমান বাতিল হয়ে গিয়েছে। আগে থেকে খোঁজখবর নিয়ে যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে শনিবার কিছু উড়ানের সময়সূচি পরিবর্তন করা ছাড়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।