কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন সীমা হায়দর। মঙ্গলবার ভোরে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মা এবং সন্তান দু’জনেই সুস্থ আছেন। সীমার পরিবারের ঘনিষ্ঠ আইনজীবী এপি সিংহ সংবাদমাধ্যমে এই সুখবর দিয়েছেন। সদ্যোজাতকে ঘিরে গ্রেটার নয়ডায় সচিন-সীমার বাড়িতে এখন খুশির হাওয়া।
কন্যার নাম কী রাখবেন সীমা এবং সচিন, তা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। তবে পরিবার সূত্রে খবর, কন্যার নাম ঠিক করার ভার দেশবাসীর হাতেই তুলে দিতে চান সীমা-সচিন। সীমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিয়ে অনেক দিন একটা গুঞ্জন চলছিল। যদিও সেই গুঞ্জন এবং জল্পনা নস্যাৎ করে দেন সীমা। তখন তিনি জানান, যদি এ রকম ঘটনা ঘটে থাকত, তা হলে অবশ্যই তা সকলকে জানাতেন। কিন্তু সে রকম কোনও খবর আপাতত নেই বলে গত জানুয়ারিতে দাবি করেন।
সেই সময় সীমা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘‘আমার চার সন্তান। চার দিকে আমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ঘুরছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ রকম কোনও খবর নেই।’’ তার পরই মার্চের শুরুতেই সীমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে।
সীমার সঙ্গে সচিনের প্রেম শুরু হয় ২০১৯ সালে। অনলাইন গেম খেলতে খেলতেই আলাপ হয় দু’জনের। বন্ধুত্ব পেরিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে ঠিক করেন, একসঙ্গে সংসার পাতবেন। দু’জনে চলে যান নেপালে। পশুপতিনাথ মন্দিরে গিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। তার পর ২০২৩ সালের ১৩ মে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগ ওঠে সীমার বিরুদ্ধে। থাকতে শুরু করেন গ্রেটার নয়ডায় সচিনের বাড়িতেই। খবর পেয়ে সীমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে সচিন এবং তাঁর বাবাকেও আটক করে জেরা করা হয়। অবৈধ ভাবে প্রবেশের পাশাপাশি সীমার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিরও অভিযোগ ওঠে। প্রকাশ্যে আসে নাম ভাঁড়ানোর গল্পও। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, নেপালে বেনামে হোটেল বুক করে ছিলেন সীমারা। কেন তিনি নাম বদল করেছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত জেল থেকে ছাড়া পান সীমা। তার পর থেকেই সচিনের সঙ্গে সংসার করছেন সীমা।