ফাইল ছবি।
শিবসেনা তুমি কার? প্রাক্তনের না বর্তমানের? এই প্রশ্নের জবাব খোঁজার ভার বৃহত্তর বেঞ্চের উপর দিতে পারে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানিতে তা স্পষ্ট হবে। ১ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে।
মোট ছ’টি আবেদন। তার মধ্যে পাঁচটি আবেদন উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের পক্ষ থেকে। একটি আবেদন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের তরফ থেকে। বুধবার শুনানির শুরুতেই, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধবের পক্ষ সওয়াল করার জন্য হাজির হন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। অন্য দিকে শিন্ডে শিবিরের হয়ে উপস্থিত হন আর এক প্রবীণ আইনজীবী হরিশ সালভে। সিব্বল সওয়াল করেন, মহারাষ্ট্র গণতন্ত্র ঘোর বিপদে। ওই রাজ্যে যা ঘটেছে তাতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তামাশায় পরিণত হয়েছে। পাল্টা জবাব দেন শিন্ডে শিবিরের আইনজীবী হরিশ। তাঁর সওয়াল, এই তর্ক এখানে একেবারেই যথাযথ নয়, যেখানে এক জন মুখ্যমন্ত্রীকে (উদ্ধব) তাঁরই দলের সদস্যরা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।
দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর ১ অগস্টের মধ্যে দু’পক্ষকে যাবতীয় নথি, এবং জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তত দিন পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে বিধায়কদের অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে মানা করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি এনভি রমণা বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একে একটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো উচিত।’’
মহারাষ্ট্রে মহাবিকাশ আঘাডী সরকারের পতনের পর তৈরি হয়েছে বিজেপি-শিবসেনা সরকার। সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন প্রবীণ শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। এই প্রেক্ষিতে এ বার তাঁর দিকে বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে দলের রাশও দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু সরকার পড়ে গেলেও, শিবসেনার রাশ হাতছাড়া করতে নারাজ বালাসাহেব পুত্র তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। সেই লড়াই এ বার পৌঁছেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। সেই শুনানিতেই দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy