দেশ থেকে সিকল সেল অ্যানিমিয়া দূর করতে প্রতিষেধক উৎপাদক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আজ গাঁটছড়া বাঁধল দিল্লির ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি (আইজিআইবি)। এ দিন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের উপস্থিতিতে আইজিআইবি ও সিরামের মধ্যে ওই সংক্রান্ত প্রযুক্তি হস্তান্তর হয়।
মূলত যাঁরা সিকল সেল অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত, তাঁদের জিনগত ত্রুটি সারিয়ে তোলাই লক্ষ্য গবেষকদের। ওই ত্রুটি সারানোর কাজে ব্যবহার করা হয় ‘ক্রিসপর জিনোম এডিটিং’ পদ্ধতি, যা এ দেশে অবিষ্কারের নেপথ্যে রয়েছেন দুই বঙ্গসন্তান— আইজিআইবি-র ডিরেক্টর সৌভিক মাইতি ও গবেষক দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। আজ সৌভিক বলেন, “এই জিনের এডিটিং বা জিনের ত্রুটিযুক্ত বিন্যাস পাল্টানোর প্রযুক্তির সাহায্যে কেবল সিকল সেল অ্যানিমিয়াই নয়, অন্যান্য জিনঘটিত রোগও সারানো সম্ভব।” আর দেবজ্যোতি বলেন, ‘‘আইজিআইবি-র গবেষণাগারে ফেজ়-১ (প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা) ট্রায়াল হবে। কিন্তু সেটি যখন ফেজ়-টু ট্রায়ালে যাবে, তখন অনেক বড় পরিকাঠামো প্রয়োজন। তার জন্য বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া কোনও প্রযুক্তিকে জনগণের জন্য কম দামে নিয়ে আসতে গেলে বেসরকারি পরিকাঠামোর প্রয়োজন হবেই। তবেই তা কম দামে জনতাকে দেওয়া যাবে।”
বর্তমানে আমেরিকায় জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে সিকল সেল অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায় খরচ হয় কুড়ি কোটি টাকা। ভারতে সেই চিকিৎসার খরচ কয়েক লক্ষ টাকায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এতে এক দিকে ওই রোগের চিকিৎসার খরচ আয়ুষ্মান ভারত বিমার আওতায় আনা সম্ভব হবে, তেমনই এই সাশ্রয়ের ফলে আফ্রিকা ও আরব দেশগুলির রোগীরাও এ দেশে আসতে পারবেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)