অসমে ইমিগ্রান্টস (এক্সপালশন ফ্রম আসাম) অ্যাক্ট, ১৯৫০-এর অধীনে সম্প্রতি প্রায় কুড়ি জন ঘোষিত বিদেশিকে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছিল। কিন্তু বিনা পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে ভারতের ‘পুশ ইন’ করা ব্যক্তিকে ঠাঁই দিতে নারাজ বাংলাদেশ। তাই তাঁদের ফের ভারতের দিকে পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে সাত জন সীমান্ত পার করে ফের অসমের শ্রীভূমি জেলায় ঢুকেছিলেন।
কিন্তু বুধবার মহিষাসন সীমান্ত এলাকার মানাতোলি গ্রামে নিয়মিত টহলের সময় গ্রামরক্ষী বাহিনী সদস্যরা ওই সাত জনকে আটক করেন। তাঁদের আবারও বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আটক ব্যক্তিদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সূত্রের দাবি, ওই সাত জনকে চলতি মাসের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের দাবি, ভারতের আদালত তাঁদের বিদেশি বললেও তাঁরা যে বাংলাদেশের নাগরিক, তার কোনও প্রমাণ নেই। এ দিকে, অসম পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে তাঁরা ফের সীমান্ত অতিক্রম করে এ-পারে এলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই আইনের অধীনে এ বারে হোজাই জেলার বরজারি মাজ গাঁওয়ের বাসিন্দা আবদুল মজিদ (৫৪)-কে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অসম ছাড়তে বলা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)