নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাঝরাস্তায় যাত্রিবাহী বাসে ধাক্কা মারল মালবোঝাই ট্রাক! পরমুহূর্তেই আগুন ধরে গেল বাসে। বেরোতে না পেরে বাসের ভিতরেই ঝলসে মৃত্যু হল অন্তত ন’জন যাত্রীর। বৃহস্পতিবার ভোরে কর্নাটকের চিত্রদুর্গ জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোর প্রায় ৩টে নাগাদ ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। বেঙ্গালুরু থেকে শিবমোগার দিকে যাচ্ছিল একটি যাত্রিবাহী বাস। বাসটিতে চালক ও কন্ডাক্টর-সহ মোট ৩২ জন ছিলেন। সে সময় উল্টো দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায় বাসে। কোনও কোনও যাত্রী বেরোতে পারলেও কয়েক জন ভিতরেই আটকে পড়েন। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় তাঁদের।
পুলিশের এক কর্তা পিটিআই-কে বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার ভোরে একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, ট্রাকটি সোজা গিয়ে বাসের ডিজেল ট্যাঙ্কে ধাক্কা মারে। ফলে বাসে আগুন লেগে যায়।’’ পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েক জন যাত্রী প্রাণে বাঁচতে জানলার কাচ ভেঙে জ্বলন্ত বাস থেকে ঝাঁপ দেন। তবে বাকিরা বেরোতে পারেননি। এখনও পর্যন্ত আট জন যাত্রী এবং ট্রাকচালকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন:
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আহতেরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা। অন্য দিকে, এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার ভোরে ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। প্রায় দু’তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে পড়ে সারি সারি গাড়ি। প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগেই অন্ধ্রপ্রদেশে বেঙ্গালুরুগামী একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। বাইকের সঙ্গে ধাক্কার পর আগুন ধরে যায় ওই বাসে। ভিতরে থাকা ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে অনেকে দরজা খুলে বেরোনোর চেষ্টা করলেও পারেননি। কেউ কেউ মরিয়া হয়ে জানলা ভেঙে বেরিয়ে প্রাণে বাঁচেন। বাকিরা আগুনে ঝলসে যান। মৃত্যু হয় ১৯ জন যাত্রীর। সেই ঘটনার দু’মাসের মাথায় ফের একই ধাঁচের দুর্ঘটনা ঘটল।