উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনা হচ্ছে পর্যটকদের। —ফাইল চিত্র।
উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন, ছাতেম, পেগং থেকে শুক্রবার বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে সব মিলিয়ে ৪০৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সিকিম প্রশাসন এবং বায়ুসেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, লাচুং থেকে সমস্ত পর্যটকদের ফেরানো সম্ভব হয়েছে। তবে লাচেনে এখনও কিছু পর্যটক আটকে রয়েছেন। এ দিকে, সিকিমের দক্ষিণ লোনাক লেকে জলোচ্ছ্বাস এবং হড়পা বানের পরে, নাথু লা এবং ছাঙ্গু লেকে পর্যটকদের যাতায়াতের ‘পারমিট’ দেওয়া বন্ধ হয়েছিল। শুক্রবার ফের তা খুলে দেওয়ার কথা জানাল সিকিম সরকার। সিকিমের পর্যটন এবং অসামরিক বিমান দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে পর্যটক এবং সাধারণের জন্য ফের ওই অনুমতি মিলবে।
এ দিনও ভোর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লাচুং, লাচেন থেকে হেলিকপ্টারে ২৩৮ জনকে উদ্ধার করে পাকিয়ং বিমানবন্দরে আনা হয়েছে। এ ছাড়া, ৭৭ জন জওয়ানকে উদ্ধার করেও আনা হয়েছে তাদের সঙ্গে। লাচেন এবং পেগং থেকে ৫৮ জন পর্যটক-সহ ৬৬ জনকে উদ্ধার করে লিবিং হেলিপ্যাডে নামানো হয়েছে। ছাতেন থেকে রিংঘিম হেলিপ্যাডে ২০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয় সকালে। লাচেন এবং পেগং থেকে ২৯ জন পর্যটক-সহ ১০১ জনকে উদ্ধার করে রিংঘিম হেলিপ্যাডে আনা হয়েছে।
সিকিম প্রশাসন চুংথাং এলাকায় বাঁশের সাঁকো হয়ে হাঁটা পথে এ দিন ১৩০ জনকে উদ্ধার করেছে। গত বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের সিকিম পরিবহনের বাসে এ দিন শিলিগুড়িতে পাঠানো হয়েছে অনেককে। অনেকে গ্যাংটক থেকে গাড়ি ভাড়া করেও ফিরে আসছেন। ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘লাচুং থেকে সমস্ত পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছে। লাচেন এবং বাকি জায়গায় যাঁরা রয়েছেন, আশা করছি, খুব দ্রুত তাদের উদ্ধার করতে পারবে বায়ুসেনা এবং অন্যেরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy