বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৮৭ জনের দেহ এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪৭ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার পিটিআইকে জানিয়েছেন প্রশাসনের এক আধিকারিক। গত বৃহস্পতিবার অহমদাবাদের মেঘানিনগরে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। তাতে বিমানে সওয়ার যাত্রী-সহ ২৭০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
বিমানটি ভেঙে পড়ার পরে তাতে আগুন লেগে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, বিমানে থাকা ১.২৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি পুড়ে গিয়েছে। এর ফলে অত্যধিক তাপমাত্রার কারণেই যাত্রীদের বাঁচানো যায়নি। ঝলসে গিয়েছে বেশির ভাগ দেহ। সে কারণে শনাক্তকরণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নিহতদের আত্মীয়দের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার সঙ্গে নিহতদের ডিএনএর নমুনা মিলিয়ে দেখে শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে। সোমবার অহমদাবাদের সিভিল হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার রজনীশ পটেল বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ৮৭ জন নিহতের ডিএনএর নমুনা তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে মিলেছে। ৪৭ জনের দেহ ইতিমধ্যে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যাঁদের দেহ পরিবারকে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা গুজরাতের ভারুচ, আনন্দ, জুনাগড়, ভাবনগর, বডোদরা, খেরা, মেহসানা, আরাবল্লী, অহমদাবাদ জেলার বাসিন্দা।’’
গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। গন্তব্য ছিল লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইক। ওড়ার পাঁচ মিনিটের মাথায় ভেঙে পড়ে বিমান। অভিশপ্ত সেই বিমানে সওয়ার ছিলেন ২৪২ জন। তাঁদের মধ্যে এক জন মাত্র যাত্রী রক্ষা পেয়েছেন। বিমানটি মেঘানিনগরে লোকালয়ে ভেঙে পড়েছিল। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন চিকিৎসক-পড়ুয়াও রয়েছেন।