সাতটি খুনের পরে ১৩ বছর কেটে গিয়েছে। তবু ফাঁসির আসামী শবনম আলির পরিবার তাকে ক্ষমা করতে পারেনি। বরং তাঁদের একটাই চাওয়া। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফাঁসি হোক শবনমের।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে স্বাধীনতার পর শবনমই হবেন দেশের প্রথম মহিলা অপরাধী,যার ফাঁসি হবে। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর ফাঁসি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। মথুরা জেলে ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু হলেও শেষপর্যন্ত ফাঁসি হবে কি না, তা নিয়ে এখনও কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে শবনমের পরিবার চাইছে ঘরের মেয়ের ফাঁসিতে যাতে কোনও বাধা-বিঘ্ন না আসে। আদালতের নির্দেশ যেন দ্রুত কার্যকর হয়। অপেক্ষা যেন শেষ হতেই চাইছে না, এটাই তাঁদের বিরক্তির একমাত্র কারণ।
২০০৮ সালে নিজেরই পরিবারের সাত জন সদস্যকে ঠাণ্ডা মাথায় গলার নলি কেটে খুন করেছিল শবনম। বাবা-মা, দুই ভাই, তাঁদের স্ত্রী এমনকি ৯ মাসের ভাইপোকেও ছাড়েনি সে। প্রথমে ঘুমের ওষুধ মেশানো পানীয় খাইয়ে অচেতন করে দিয়েছিল। তারপর প্রেমিককে ডেকে পাঠিয়ে কুঠারের আঘাতে একে একে খুন করেছে সকলকে।
প্রথমে অস্বীকার করলেও ধরা পড়ার পর সেই রাতের বিবরণ শবনমই জানিয়েছিল পুলিশকে। বলেছিলেন, কী ভাবে পরিবারের ৬ সদস্যকে খুন করার পর প্রেমিককে বিদায় জানিয়েছিলেন। তারপর হঠাৎ ৯ মাসের ভাইপোর কান্না শুনে চমকে গিয়েছিলেন তিনি। কী ভাবে অন্ধকার ঘরে দু’পায়ের ফাঁকে টর্চ ধরে, ৯ মাসের শিশুটির মুখ চেপে ধরে ছুরির আঘাতে নিথর করে দিয়েছিল সে।