শরদ পওয়ার (বাঁ দিকে) এবং অজিত পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
এনসিপি বিধায়কদের বড় অংশ কাকা শরদ পওয়ার না ভাইপো অজিত পওয়ার— কার দিকে ঝুঁকে রয়েছেন, তার ইঙ্গিত মিলতে পারে বুধবার। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বুধবার দলের বৈঠক ডেকেছে পওয়ার গোষ্ঠী। আলাদা বৈঠক ডেকেছে বিদ্রোহী অজিত গোষ্ঠীও। পওয়ার গোষ্ঠীর তরফে ‘হুইপ’ জারি করে দলের সমস্ত বিধায়ককে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। হুইপ জারি করেছেন এনসিপির নয়া মুখ্য সচেতক জিতেন্দ্র আওহাদ। দলের হুইপ মেনে কত জন বিধায়ক পওয়ার গোষ্ঠীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেন, সে দিকে নজর রয়েছে সকলেরই।
অন্য দিকে, অজিত গোষ্ঠীর দিকেও কত জন এনসিপি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে, তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্য রাজনীতিতে। রবিবার অজিত শিবির থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, ৫৩ জন এনসিপি বিধায়কের মধ্যে ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁদের দিকে। যদিও রাজভবনে অজিত-সহ নয় এনসিপি বিধায়ক শপথ নেওয়ার সময় ওই বিধায়কদের কাউকে দেখা যায়নি। তাই দলের হুইপ এড়িয়ে, কত জন বিধায়ক বিদ্রোহী অজিতের বৈঠকে যোগ দেন, সে দিকেও নজর রয়েছে সকলের।
এর আগে পওয়ার গোষ্ঠী এনসিপির কার্যকরী সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রফুল পটেলকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। পাল্টা দলের রাজ্য সভাপতি, পওয়ার গোষ্ঠীর জয়ন্ত পাতিলকে বহিষ্কার করেছে অজিত গোষ্ঠী। দলের পরিষদীয় নেতা হিসাবে অজিতকে বেছে নিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়কেরা। ইতিমধ্যে পওয়ার গোষ্ঠী মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের কাছে বিদ্রোহী নয় বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানিয়েছে। বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে থাকার দাবি জানিয়ে অজিত বলেছিলেন, “আমরা দলের প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে লড়ব।” যদিও পওয়ার গোষ্ঠী সুপ্রিম কোর্টের একটি সাম্প্রতিক রায়কে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বিধায়কেরা দলের মুখ্য সচেতকের নির্দেশ অমান্য করলে তা দলবিরোধী কাজ হিসাবেই গণ্য করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy