শরদ যাদব। ছবি: সংগৃহীত
বিজেপির সঙ্গে জোট সরকার গঠনে নীতীশ কুমারের উপর তিনি ‘ক্ষুব্ধ’— জেডিইউয়ের প্রাক্তন সভাপতি শরদ যাদবকে ঘিরে দু-তিন দিন ধরে এমনই জল্পনা ছড়িয়েছিল। রবিবার তা উস্কে দিলেন খোদ শরদই!
টুইটারে সরাসরি কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের দিকে তোপ দাগলেন। লিখলেন, ‘বিদেশ থেকে কালো টাকা দেশে ফেরানো হয়নি। সেটা শাসক দলের মূল স্লোগান ছিল। পানামা পেপার-এ নাম থাকা কেউ ধরাও পড়েনি।’ শরদের টুইট নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে।
দুর্নীতির কথা বলে বিহারে মহাজোট ভাঙেন নীতীশ। বিজেপির হাত ধরে নতুন সরকারও গড়েছেন। তার পরপরই কালোটাকা নিয়ে পাল্টা বিজেপিকেই নিশানা করলেন জেডিইউ নেতা শরদ। উল্লেখ্য, আরজেডি-কংগ্রেসের মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত, তার ১৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি-জেডিইউ জোটের নেতা হিসেবে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসায় নীতীশের উপর শরদ রেগে রয়েছেন— এমনই দাবি করেছিলেন লালুপ্রসাদ। গত কাল তিনি শরদকে ‘আমাদের নেতা’ বলেও চিহ্নিত করেন। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে তাঁকে নেতৃত্ব দেওয়ার আর্জিও জানান। কিন্তু নীতীশের শপথগ্রহণের পর দু’দিন প্রকাশ্যে কিছু বলেননি ওই জেডিইউ নেতা। রবিবার তাঁর টুইট দেখে তা-ই খুশি বিরোধী শিবির।
এ দিনই নয়াদিল্লিতে শরদের সঙ্গে দেখা করেন সিপিআই নেতা ডি রাজা। পরে তিনি দাবি করেন, ‘‘নীতীশের পদক্ষেপে শরদ ক্ষুণ্ণ ও বিব্রত। আমার মনে হয় ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে আগে কিছু জানানো হয়নি।’’
এ দিকে আরজেডি মুখপাত্র মনোজ ঝা জানিয়েছেন, বিহার বিধানসভায় আরজেডি-র সব চেয়ে বেশি বিধায়ক থাকলেও, জেডিইউ-বিজেপি জোটকে বিহারের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী আগে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান। তার বিরুদ্ধে এক সপ্তাহের মধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হবে আরজেডি। মনোজবাবুর কথায়, ‘‘জনাদেশকে ধুলিসাৎ করেছেন নীতীশ কুমার। সেই নালিশ জানাতে জনতার আদালতেও যাব। সাধারণ মানুষকে জানাব, জেডিইউ-বিজেপি কী রকম রাজনীতি করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy