Advertisement
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Sharjeel Imam

আংশিক বক্তব্য প্রচারেই বিতর্ক, দাবি শরজিলের

দিল্লি থেকে ট্রানজিট রিম্যান্ডে গুয়াহাটি আনার পরে চার দিনের জন্য শরজিলকে জিম্মায় পেয়েছে অসম পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

অসম পুলিশের জিম্মায় শরজিল। ফাইল চিত্র

অসম পুলিশের জিম্মায় শরজিল। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:২৩
Share: Save:

ভিডিয়ো তাঁরই। সেখানে কোনও কারসাজি নেই। কিন্তু তাঁর পুরো বক্তব্য না-দেখিয়ে খানিকটা অংশ ইচ্ছাকৃত ভাবে কেটে প্রচার করে বিতর্ক বাড়ানো হয়েছে। জেরায় অসম পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে দিল্লির ছাত্রনেতা শরজিল ইমাম।

দিল্লি থেকে ট্রানজিট রিম্যান্ডে গুয়াহাটি আনার পরে চার দিনের জন্য শরজিলকে জিম্মায় পেয়েছে অসম পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ফের আদালতে আবেদন জানানো হবে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় শরজিলকে বলতে দেখা গিয়েছে, অসমে সব বাংলাভাষীকে মেরে ফেলা হবে। রেলপথ উপড়ে ফেলে অসমকে দেশ থেকে কয়েক দিনের জন্য হলেও বিচ্ছিন্ন করতে হবে। এর ভিত্তিতে অসম, মণিপুর, অরুণাচলের পুলিশ মামলা করেছে শরজিলের বিরুদ্ধে।

অসম পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, শরজিল ভিডিয়োতে বলা তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, তিনি উত্তেজনার মাথায় কিছু কথা বলে ফেলেছিলেন। কিন্তু তাঁর পুরো বক্তব্য না-দেখিয়ে একটি অংশ দেখানোয় বেশি সমস্যা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শরজিলের মোবাইলের তথ্য পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অতীতে অসম এসেছিলেন শরজিল। এখানে কাদের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ও রাজ্য সরকারের মুখপাত্র হিমন্তবিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন, মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন পিএফআই গুয়াহাটিতে হিংস্র আন্দোলনে মদত দিয়েছিল। শরজিল ভিডিয়োয় দাবি করেছিল, তাঁদের সঙ্গে পাঁচ লক্ষ মানুষ আছেন। তাই অসমে পিএফআইয়ের সঙ্গে শরজিলের যোগাযোগ এবং তাঁর সঙ্গে কত জনের সমর্থন রয়েছে— তা নিয়েও তদন্ত, জেরা চলছে।

আরও পড়ুন: জনস্রোতে কানহাইয়া, ডাক সব বিরোধীকে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE